Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

92খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
দেওয়ানি আদালতের বিচারকদের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। এ ক্ষমতাবলে একজন সহকারী জজ ১৫ লাখ, সিনিয়র সহকারী জজ ২৫ লাখ এবং জেলা জজ পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবেন। এর মধ্যে জেলা জজের বিচারিক এখতিয়ার (জুরিসডিকশন) বাড়ছে ১০০ গুণ। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেওয়ানি কার্যবিধির (সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট, ১৮৮৭) সংশোধনী প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর আগে সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট, ১৮৮৭ সংশোধন করে বিচারকদের এখতিয়ার বাড়ানোর একটি প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি আজ মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, বিচারকদের এখতিয়ার বাড়িয়ে মামলাজট কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রস্তাবে সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট, ১৮৮৭-এর ১৯ ও ২১(১)(এ) ধারা সংশোধন করে সহকারী জজের বিচার্য মামলার মূল্যমান দুই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখ, সিনিয়র সহকারী জজের বিচার্য মামলার মূল্যমান চার লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ এবং জেলা জজের নিষ্পত্তি করা মামলার মূল্যমান পাঁচ লাখ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সচিব জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে দেওয়ানি কার্যবিধির ১৯ ও ২১(১)(এ) ধারা অনুযায়ী একজন সহকারী জজ দুই লাখ টাকা, সিনিয়র সহকারী জজ চার লাখ টাকা এবং জেলা জজ পাঁচ লাখ টাকা মূল্যমানের মামলা নিষ্পত্তি করার এখতিয়ার ছিল। বর্তমানে সবকিছুর মূল্য কয়েকগুণ বেড়েছে। এখতিয়ার না থাকায় অধস্তন আদালতের এ বিচারকরা দায়ের হওয়া অধিকাংশ মামলাই নিষ্পত্তি করতে পারছেন না। এতে আদালতগুলোতে মামলার স্তূপ জমে আছে। এ কারণেই বিচারকদের আর্থিক এখতিয়ার বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বৈঠকের আগে বিচারকদের এখতিয়ার বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ধরা যাক, একজন বাদী জমির মালিকানা দাবি করে অপর ব্যক্তির বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মামলা করেন, আর এ জমির মূল্যমান যদি পাঁচ লাখ টাকা হয়; কেবল এ ক্ষেত্রেই জেলা জজ মামলাটি আমলে নিয়ে নিষ্পত্তি করতে পারবেন। যদি জমির মূল্যমান পাঁচ লাখ টাকার অধিক হয়, তাহলেই বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে জুরিসডিকশনের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তা উচ্চতর আদালতে পাঠিয়ে দেবেন।’ ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে বিচারপ্রার্থী হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। তা ছাড়া ১৮৮৭ সালের পর আইনের এ ধারা দুটি আর সংশোধন করা হয়নি। ফলে ওই সময়ের চেয়ে এখন সবকিছুরই দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। আইনটি সংশোধন করে বিচারকদের এখতিয়ার বাড়ানো হলে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। সে সঙ্গে বিচারকদের হয়রানিও অনেক কমে যাবে।