খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
লন্ডন যেতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, রাত সাড়ে ৯টায় তার ফ্লাইট। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শাহেরুল কবির খান মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে খালেদা জিয়ার এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করেন। হজরত শাহজালাল বিমান বন্দরের ভিআইপি গেইট দিয়ে ঢুকেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ও গৃহকর্মী ফাতেমা আখতারকে দেখা গেছে। এই সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাচ্ছেন ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান এর আগে বলেছিলেন, রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে খালেদা জিয়া লন্ডন রওনা হবেন। “ম্যাডামের চোখের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও ঠিক করা হয়ে গেছে,” বলেন তিনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গেলেও এবার লন্ডনে ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেই খালেদা ফিরবেন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন। আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান সিঁথি, তার দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানেরও মালয়েশিয়া থেকে লন্ডন যাওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার মামলায় (২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা) হুলিয়া নিয়ে গত সাত বছর ধরে লন্ডনে রয়েছেন। ২০০৬ সালের পর যুক্তরাজ্যে খালেদার দ্বিতীয় সফর এটি। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে দেশে ফেরার পথে বড় ছেলে তারেককে দেখতে লন্ডনে গিয়েছিলেন তিনি। খালেদা জিয়া গত বছর ওমরাহ করতে সৌদি আরবে গেলে তারেকও লন্ডন থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। এরপর আর মা-ছেলের দেখা হয়নি। এরপর মালয়েশিয়ায় থাকা খালেদার ছোট ছেলে কোকো মারা যান। প্রতি বছরের মতো এবারও রোজার সময় ওমরাহ করতে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল খালেদার। কিন্তু ওই সফর তিনি শেষ মুহূর্তে বাতিল করেন দলের শীর্ষ নেতাদের কারাগারে থাকার কথা বলে। আর গত অগাস্টে লন্ডন যাওয়ার তোড়জোড় করেও পরে যাননি বিএনপি চেয়ারপারসন। তার না যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনারও সৃষ্টি হয়। পরে খালেদা জিয়া বলেন, তার পায়ের ব্যথা বেড়েছে। সেজন্য যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। লন্ডন সফরের আগে গত রোববার রাতে গুলশানে নিজের কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে দলের কমিটি গঠনের কাজ দ্রুত করার তাগিদ দেন খালেদা জিয়া। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সেদিন সাংবাদিকদের বলেন, “নেত্রী তার অনুপস্থিতিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নেতাদের সংগঠন গোছানোর কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দিয়ে গেছেন।