খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের ২৮ অক্টোবর ঘোষিত উপ-নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। উপ-নির্বাচনে বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও বড় ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সমর্থন চেয়েছেন তিনি।
টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত এক জনসভায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ‘সরকার ও পুলিশ কালিহাতি উপ-নির্বাচনে ভোট ডাকাতির চেষ্টা করলে তাদের ফাঁসি হবে। আমরা চাই এ দেশে সমান অধিকার আসুক, সবাই সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারুক।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সরকার শিক্ষার ওপর ভ্যাট বসিয়েছিল, সেই ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হয়েছে। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, আগামী ২৮ অক্টোবর কালিহাতির উপ-নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ভোট ডাকাতি বন্ধ হবে। ডাকাত সরকার, চোর সরকার এই দেশে থাকবে না।’
কালিহাতী উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি হাজী শাসছুল আলম তোতার সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর তালুকদার প্রতীক, যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডভোকেট মিয়া মো. হাসান আলী রেজা, টাঙ্গাইল জেলার সভাপতি এএইচএম আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও যুব আন্দোলনের সভাপতি হাবিবুন নবী সোহেল প্রমুখ।
কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করায় নির্বাচন কমিশন ৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল-৪ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। এর আগে ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদসের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন লতিফ সিদ্দিকী।
টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী সিদ্দিকী পরিবারের আদিনিবাস টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতী উপজেলাতে হলেও কাদের সিদ্দিকী সব সময় টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর-বাসাইল) থেকে নির্বাচন করেন। সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা কাদের সিদ্দিকী এই টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকেই ১৯৯৯ সালে পদত্যাগ করেছিলেন। একই বছর ১৫ নভেম্বর সেখানে উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন।
১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর কাদের সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে নতুন রাজনৈতিক সংগঠন তৈরি করেন।