খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ মৌলভীবাজার: সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলীর জানাজা শেষে ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র) মাজারে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে।
বুধবার আসরের নামাজের পর বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।জানাজার নামাজ পড়ান মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ুম সিদ্দিকী।
এর আগে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলীর লাশ ঢাকা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় একটি হেলিকপ্টারে মৌলভীবাজার এম সাইফুর রহমান স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছে। সেখানে অপেক্ষায় থাকা পরিবারের লোকজন মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর স্টেডিয়াম থেকে নিয়ে যাওয়া হয় পৌরসভার দর্জিপাড়ারর মন্ত্রীর নিজ বাসায়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাসায় নিয়ে যাবার পর সৃষ্টি হয় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। স্বজন-ভক্ত আর শুভাকাঙ্খীদের আহাজারিতে দর্জিপাড়ার আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে। তাকে এক নজর দেখার ভিড় করেছেন বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী আর নানা রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার মানুষ। সবার চোখে শোকের অশ্রু।
এদিকে বিকেল ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানো জন্য সামজকল্যাণমন্ত্রীকে মৌলভীবাজার শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হয়। মন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজ, হুইপ শাহাব উদ্দিন আহমদ, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহিদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বিশিষ্ট দানবীর রাগিব আলী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ মৌলভীবাজার প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সামাজসেবক ও সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, ৪ সেপ্টেম্বর রাতে হবিগঞ্জের মাধবকুণ্ডে আলোচনা সভা থেকে ফিরলে রাত শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপরই মন্ত্রীকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিউমোনিয়া, কিডনিতে সমস্যা এবং ডায়াবেটিস রোগে মারাত্মক অসুস্থ সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে গত ৫ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন।