Sun. Aug 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
70অষ্টম বেতন কাঠামোর বৈষম্য পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে ‘বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’ পুনর্গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে পুনর্গঠিত কমিটিতে শিল্প, বাণিজ্য, আইন ও শিক্ষামন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী এবং অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সদস্য হিসেবে রয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অর্থ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সিনিয়র সচিব, সচিব বা ভারপ্রাপ্ত সচিব এ কমিটিকে সহায়তা করবেন বলে আদেশে বলা হয়েছে। এ কমিটিকে জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনিষ্পন্ন কেইসসমূহ পর্যালোচনা ও বেতন স্কেলে অভিযোগের বিষয়ে প্রাপ্ত অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। অর্থ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা করবে। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি করা হয়। ওই কমিটিতে তথ্য ও শিক্ষামন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সদস্য হিসেবে ছিলেন। ৭ সেপ্টেম্বর সামরিক ও বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামোর অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। নতুন বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করে প্রতি বছর বেতন বৃদ্ধির নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। বেতন কমিশন ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে পর্যালোচনা কমিটি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের বিষয়টি শোনার পর বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুলের শিক্ষক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলনে নামে। তাদের অভিযোগ নিচের দিকে পদোন্নতি কম হয়, এ দুটি বিষয় বাদ দেওয়া হলে নিচের দিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়ার কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না সরকারের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলেও নতুন বেতন কাঠামো অনুমোদনের পরও আন্দোলন অব্যাহত আছে। বেতন কাঠামো অনুমোদনের আগে থেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন কাঠামো সংশোধন করে সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকদের পদমর্যাদা সিনিয়র সচিবের সমান করা, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের পদমর্যাদা উন্নতীকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গাড়ি ও অন্য সুবিধা দেওয়ার দাবি তুলে আন্দোলন করে আসছিলেন। তাদের আন্দোলনও অব্যাহত আছে। বেতন কাঠামো অনুমোদনের দিন প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানিয়েছিলেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদন দেওয়া প্রস্তাবের মাধ্যমে শিক্ষকদের দাবির বিষয়গুলো তাৎক্ষণিকভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তাই শিক্ষকদের প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে সুপারিশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিকে।

অন্যরকম