খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
শ্রদ্ধা, ভালবাসা আর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীকে বাবা-মার কবরে পাশে দাফন করা হয়েছে। বুধবার বিকেল ৪ টায় মৌলভীবাজার সরকারি স্কুল মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র.) মাজার প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধার জানাজার পূর্বে বক্তব্য রাখেন চিফ হুইপ আসম ফিরোজ, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন, হুইপ আলহাজ শাহাব উদ্দিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মিজবা উদ্দিন সিরাজ, মন্ত্রীর ছোট ভাই সৈয়দ মোস্তাক আলী প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি, মাহমুদুস সামাদ কয়েছ এমপি, মাহবুবুর রহমান এমপি, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপি, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ, জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজুর রহমানসহ অন্যরা। শেষবারের মতো প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শ্রদ্ধা জানায় জেলা আ’লীগ,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ, গণতন্ত্রী পার্টি, জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সিলেট জেলা আ’লীগ, হবিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব, ওসমানীনগর ছাত্রলীগ, মৌলভীবাজার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ, জেলা পরিষদ, উদীচী. মৌলভীবাজার সাত উপজেলা আ’লীগ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আ’লীগসহ অন্তত দুই শতাধিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এরপর পুলিশ প্রশাসনের একটি দল বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলীর মরদেহ জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করে বিউগল বাজিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানায়। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক প্রকাশ কান্তি চৌধুরী পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে প্রয়াত সৈয়দ মহসিন আলীর মরদেহ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় স্টেডিয়াম থেকে শহরের শ্রীমঙ্গল সড়কের নিজ বাড়িতে পৌঁছে। সেখানে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা শেষ বিদায় জানান। পরে ১ টা ৩৮ মিনিটে বাড়ির সামনে একটি মঞ্চে তার মরদেহ রাখা হয়। সেখানে স্থানীয়রা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী গত সোমবার সিঙ্গাপুরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। প্রথমে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। এ সময় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে ৫ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য মন্ত্রীকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।