Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
3নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বাংলাদেশ-ভারত জল সীমান্তে ভাসমান বেড়া দেওয়া হবে। পরীক্ষামূলকভাবে হালকা ওজনের অ্যালুমিনিয়াম পাতের তৈরি এসব ভাসমান বেড়া বসাবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। প্রাথমিকভাবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের ঘোজাডাঙ্গা সংলগ্ন ইছামতি নদীর ওপর ভাসমান বেড়া দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হবে। পরে বাংলাদেশ-ভারত জল সীমান্তের অন্যান্য স্থানেও এমন বেড়া স্থাপন করবে ভারত। বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবন সংলগ্ন নদীর পানি যেহেতু নোনা, তাই লোহার বেড়া দ্রুত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যে কারণে অ্যালুমিনিয়ামের পাতের বেড়া স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নদীর নিচে দেওয়া হবে কংক্রিটের পিলার। এর ওপর বসানো হবে অ্যালুমিনিয়াম পাতের বেড়া। তাই নদীর নিচেও বেড়া হবে। এই বেড়া পার হয়ে নৌকা এপার থেকে ওপার যেতে পারবে না। ফলে পাচার বা অনুপ্রবেশ করাও সম্ভব হবে না। এই ভাসমান বেড়ার পাশাপাশি নদীপথের নিরাপত্তার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ১৫টি নৌকা, ১০টি ডবল ইঞ্জিন স্পিডবোট এবং পাঁচটি ২০ মেট্রিক টন ভার বহনকারী মাঝারি সাইজের নৌযান। মাঝারি নৌযানগুলোই ভাসমান চেকপোস্ট হিসেবে ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নদীপথগুলোতে ভাসমান বেড়ার পাশাপাশি স্পিডবোডে চলবে নজরদারি। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নদীপথের অধিকাংশ এলাকা আজও অরক্ষিত। একাধিকবার নদীপথ দিয়ে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের ঘটনাও ঘটেছে। যা স্বীকার করে নিয়েছেন বিএসএফ এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের অধিকর্তারাও। যে কারণে নেওয়া হয়েছে ভাসমান বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নদীপথের সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা নিয়ে গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর আঙ্গরাইল ছাউনীতে বিএসএফের কর্মকর্তাদের এক বৈঠক হয়। সেখানেই সীমান্তের পানিপথে ওই বিশেষ ভাসমান বেড়া নিয়ে আলোচনা হয়। এই মুহূর্তেপশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের নদী সীমান্তে প্রায় ৩৮৪ কিলোমিটার। গত কয়েক বছরে ওই নদীপথ পেরিয়ে গরু ও সোনা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ব্যাপকভাবে। বিএসএফের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বিজয় চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জল সীমান্তে ভাসমান বেড়া নির্মাণের জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিএসএফ। গ্রিন সিগন্যাল পেলেই জোর কদমে কাজ শুরু হবে।