খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
নিউইয়র্কে এক আলোচনা সভার বক্তব্যে ‘পরোক্ষভাবে শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা’ করায় সাংবাদিক শফিক রেহমানকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগ।
সোমবার আওয়ামী লীগ কুইন্স বরো শাখার এক সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এই উপদেষ্টাকে দেশে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করারও দাবি জানানো হয়।
নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের অর্থে শফিক রেহমান ও অন্যরা বিদেশে বসে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। চিহ্নিত দালাল শফিক রেহমান শেখ হাসিনা সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য।
“আজ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোথাও তাকে মিটিং করতে দেওয়া হবে না। যেখানে শফিক রেহমান, সেখানেই প্রতিরোধ।”
সভায় বলেন, শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলছে।এ অগ্রযাত্রা সহ্য করতে পারছে না স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এজন্য তাদের এজেন্টরা শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করছে।
কুইন্স বরো আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম, কুইন্স বরো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম শফিকুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটনের নর্থ আমেরিকা বাংলাদেশ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে শফিক রেহমান পরোক্ষভাবে প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করেন বলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ।
সেমিনারের প্যানেল আলোচক সাপ্তাহিক বর্ণমালার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন, একটি রুশ কৌতুকের আদলে শফিক রেহমান প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করেন।
“সেমিনার বক্তব্যে শফিক রেহমান বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বর্তমান সরকার ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন। এক পর্যায়ে শফিক রেহমান একটি রুশ কৌতুক বলেন।
“কৌতুকে বলা হয়- একজন পাঠক প্রতিদিন একটি দৈনিক পত্রিকা কিনে তার প্রথম পাতা দেখেই পত্রিকাটি ফেলে দেয়। একদিন হকার সেই ব্যক্তির কাছে এর কারণ জানতে চাইলে লোকটি বলে, ‘আমি একটি মৃত্যুসংবাদের অপেক্ষায় আছি।
“হকার বলে, ‘মৃত্যু সংবাদ তো সচরাচর ভেতরের পাতায় থাকে। জবাবে লোকটি বলে, ‘আমি যে মৃত্যু সংবাদটির অপেক্ষায় আছি তা পত্রিকার প্রথম পাতায় থাকবে।’
সেমিনারের অন্য আলোচক এবং দর্শকরা শফিক রেহমানের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বলেও মাহফুজুর রহমান জানান।