Fri. Mar 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
61উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়েই খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার চলে। মাত্র ৭ ওয়ানডে ও ২ টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতিমধ্যে দুই রূপই দেখে ফেলেছেন ক্রিস মরিস। দক্ষিণ আফ্রিকার এ ডানহাতি পেসার জীবনের সবচেয়ে বড় সুসংবাদটি পেয়েছিলেন ২০১৩ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তখন তার মাত্র দুই টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা। কিন্তু ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) তার দাম ওঠে আকাশচুম্বি। কয়েক দলের লড়াই শেষে তাকে নিজেদের দলে ভেড়ায় চেন্নাই সুপার কিংস। তার দাম দাঁড়ায় ৬২৫,০০০ ডলার! এতো অর্থে তাকে কেনার পর নিজেই অবাক হন ক্রিস মরিস। বলেন, ‘জীবনে আমি এতো অর্থ একসঙ্গে দেখিনি।’ ওই অর্থ হাতে পাওয়ার পর সবই হয়েছিল তার। বাবা-মাকে আলীশান বাড়ি কিনে দিয়েছিলেন, বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছিলেন আর এর কিছুদিন পর দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে দলেও ডাক পেয়েছিলেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নিয়মিত হতে পারেন নি তিনি। আস্থার প্রতিদান খুব একটা দিতে পারেননি। তবে দলে নিয়মিতক জায়গা করে নেয়ার জন্য তার সামনে ছিল বাংলাদেশ সফর। কিন্তু মুদ্রার ঠিক উল্টো পিঠটা দেখতে শুরু করেন এ বছর বাংলাদেশ সফরে। হালকা ইনজুরি নিয়েই তিনি বাংলাদেশ সফরে আসেন। আর এসেই টাইগারদের তা-বে পড়েন তিনি। বাংলাদেশের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। এরমধ্যে প্রথম দুই ম্যাচে খেলেন তিনি। দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাননি। আর দুই ওয়ানডেই তার জীবনের বাজে সময় ‘উপহার’ দেয়। প্রথম ম্যাচে ৩২ রানে ২ উইকটে পেলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কোনো উইকেট পাননি তিনি। দলের সিরিজ হার ও নিজের পারফর্মেন্সের পর হতাশ ছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে সন্ধিক্ষণ দাঁড়িয়ে এখন মরিস। সামনের মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পূর্ণ সিরিজ খেলতে ভারত সফর করছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। নিজে তেমন প্রত্যাশা না করলেও আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। আর এই সফরেই বাংলাদেশের কাছে হতাশাকর পারফর্মেন্সের ক্ষতিপূরণ করতে চান তিনি। ২৮ বছল বয়সী এ পেসার বলেন, ‘আমি এবং আমাদের দলের জন্য বাংলাদেশ সফর সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। বাংলাদেশ থেকে একটি বাজে সফর করে আমরা ফিরেছি। তবে কখনও আমি ভেঙে পড়িনি। সবকিছু পেছনে ফেলে সামনের জন্যই এখন প্রস্তুত হতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম তখন এ কথা বলা অনেক সহজ ছিল যে, আমি কেন ক্রিকেট খেলছি। আমি তখন দেশের হয়ে খেলতে চাইতাম। কিন্তু যখন বাংলাদেশ সফর থেকে ফিরলাম তখন মনে হলো দেশের হয়ে খেলার মতো যথেষ্ঠ ভাল খেলোয়াড় আমি নই। দুইটা দিন (বাংলাদেশ সফরে) আমার জন্য ছিল অন্ধকার। কিন্তু সে অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চাই। দেশের জার্সি গায়ে চাপালে অনেক প্রেরণা পাই।’ ভারত সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ৩ টি-টোয়েন্টি, ৫ ওয়ানডে ও ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে। ২ রা অক্টোবর টি-টোয়েন্টি, ১১ অক্টোবর ওয়ানডে ও ৫ নভেম্বর তাদের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে।