খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বড় তারকা সুরেশ রায়না ১৬ রান করেই আউট। প্রতিপক্ষও ১২৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে। অথচ এমন ম্যাচেই কি না ৯৬ রানের বিশাল পরাজয়। প্রথম ওয়ানডেতে ভারত ‘এ’ দলের কাছে এত বড় ব্যবধানে হেরে ভীষণ হতাশ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের কোচ হিথ স্ট্রিক। হাতের মুঠোয় চলে আসা ম্যাচে এভাবে পরাস্ত হওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া স্বাগতিকদের সাত উইকেটে ৩২২ রানের স্বস্তির জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে সঞ্জু স্যামসন, গুরকিরাত সিং আর ঋষি ধাওয়ানের ঝড়ো অর্ধশতক। চাপের মধ্যে পড়েও প্রতিপক্ষ শেষ পর্যন্ত এত বড় সংগ্রহ গড়ায় স্ট্রিক হতাশা চেপে রাখতে পারেননি, ‘প্রথম পাঁচ ওভার বাজে বোলিং করার পর আমরা দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়েছিলাম। তবে আমরা সেই চাপ ধরে রাখতে পারিনি। আমরা অনেক বাউন্ডারি আর অতিরিক্ত রান দিয়েছি। তবে আমাদের ফিল্ডিং ভালোই হয়েছিল।’ শুধু বোলাররা নয়, ‘এ’ দলের শক্তিশালী লাইনআপও ব্যর্থ। ব্যাটিং সহায়ক পিচে ২২৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছে অতিথিরা। ষষ্ঠ উইকেটে নাসির হোসেন (৫২) আর লিটন দাস (৭৫) ১২০ রানের জুটি না গড়লে এই রানও করতে পারত না বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক স্ট্রিক আলাদাভাবে এ দুজনের প্রশংসাও করলেন, ‘লিটন আর নাসিরের জুটিটা সত্যিই ভালো ছিল। এতেই বোঝা যায়, প্রয়োগ ক্ষমতা দেখাতে পারলে এই উইকেটে ব্যাটিং কতটা ভালো করা সম্ভব। এই মাঠের আউটফিল্ড ভীষণ দ্রুত। তাই সঠিক ব্যাটিং-ক্ষমতার প্রয়োগ এই উইকেটে অনেক রান এনে দিতে পারে।’ প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে ‘এ’ দলের খেলোয়াড়রা কতটা শিখতে পারলেন, তা বোঝা যাবে খুব শিগগিরই। শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের ‘এ’ দল। ম্যাচটি হবে বেঙ্গালুরুতেই।