খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
অলরাউন্ডার শব্দটা শুনলে ল্যান্স ক্লুজনার নামটি মাথায় আসবেই। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে তারকাখচিত দক্ষিণ আফ্রিকান দলের সবচেয়ে বড় তারকায় পরিণত হয়েছিলেন ক্লুজনার। ব্যাট ও বল হাতে অবদান রেখেছেন দলের প্রত্যেকটি খেলাতেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষের সেমিফাইনালে পাগলাটে সেই দৌড়ের জন্যও সবাই মনে রেখেছে তাঁকে। এক সময়ের এই তারকা অলরাউন্ডার বলছেন, গত কয়েক বছরে ক্রিকেটে সবচেয়ে ধারাবাহিক অলরাউন্ডারটির নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি! ক্রিকেটে ইদানীং ভালো অলরাউন্ডারের অভাব দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ দলেই খেলছেন ‘মিনি অলরাউন্ডার’। ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ের কারণে দলে এসেছেন। কিন্তু দলের প্রয়োজনে অন্য কাজটিও করতে পারেন। পূর্ণাঙ্গ অলরাউন্ডারের অভাব বোধ করছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাই। ক্লুজনারও ব্যতিক্রম নন। কিন্তু তাই বলে সময়ের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে ধোনির নাম বলবেন! টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক আলাপচারিতায় ক্লুজনার বলেছেন, ‘ক্রিকেটে অলরাউন্ডার নেই, এটা ঠিক নয়। আছে, কিন্তু তারা নিজেদের প্রমাণ করতে পারছে না। আমাদের কপাল ভালো ছিল, আমরা ক্যালিস এবং পোলককে পেয়েছিলাম। আর আমার ধারণা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানরাও সত্যিকারের অলরাউন্ডারের কাতারেই পড়ে। ধোনি কিংবা গিলক্রিস্টের মতো খেলোয়াড়েরা অতুলনীয়। আমার মতে গত কয়েক বছরে বিশ্ব ক্রিকেটে ধোনিই ছিল সেরা অলরাউন্ডার।’ ভারতকে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ধোনি। প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও ধোনির অধিনায়কত্বেই জিতেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ব্যাটিং, কিপিং, অধিনায়কত্ব মিলিয়ে দলের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন তিনিই। ক্লুজনারের মুগ্ধতার কারণটা তাই আঁচ করাই যায়। উইকেটরক্ষকদেরও অনেকে অলরাউন্ডারের স্বীকৃতি দিতে চান। একটা সময় কেবল ভালো উইকেটকিপিং করতে জানলেই দলে জায়গা হতো। কিন্তু এখন শুধু কিপিং নয়, জানতে হবে ভালো ব্যাটিং। বোলিং-ব্যাটিং দিয়ে যদি অলরাউন্ডার হয়; তবে ব্যাটিং-কিপিং দিয়ে হবে না কেন? ক্লুজনারের ব্যক্তিগত পছন্দ নিয়ে তাই আপত্তি তোলার সুযোগ নেই। অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে খাঁটি অলরাউন্ডার সংকটের এই সময়টাতেও ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত খেলে যাওয়া সাকিব আল হাসানকে তাঁর চোখে পড়েনি, সাকিব-ভক্তদের জন্য এটা হতাশার বৈকি।