খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
জমি দখল করতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মী আটক হয়েছেন। গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শ্যামলীতে এ ঘটনা ঘটলেও আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি ক্যাম্পাসে জানাজানি হয়। আদাবর থানার উপপরিদর্শক মনছুর হোসেন মানিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত সোমবার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এসআই বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে ‘অনধিকার প্রবেশ ও মারধরের’ অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।” আটক ১১ জনের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মী রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। তবে তাঁরা কেউই নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। আট ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক উপসম্পাদক আব্দুর রহিম জুয়েল (জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, ৪১তম ব্যাচ), শেখ বনি আলম খান (ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ, ৪১তম ব্যাচ), মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম (নগর অঞ্চল ও পরিকল্পনা বিভাগ, ৪২তম ব্যাচ), জুবায়ের রহমান তালহা (গণিত বিভাগ, ৪২তম ব্যাচ), অনিক কুমার সাহা (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, ৪২তম ব্যাচ), সৈয়দ লায়েব আলী (দর্শন বিভাগ, ৪৩তম ব্যাচ), মিনহাজুল আরেফিন (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, ৪৩তম ব্যাচ) ও অলিউন নবী অলিভ (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, ৪৩তম ব্যাচ)। এঁরা সবাই মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। পুলিশ জানায়, আটক অন্য তিনজন হলেন নাজনিন, সোহেল ও মো. সুমন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তিনি শুনেছেন, যুবলীগের এক প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতার বোনের পক্ষে জমি দখল করতে গিয়েছিলেন ছাত্রলীগের ১২-১৫ জন নেতা-কর্মী। এ সময় পুলিশ তাদের মধ্যে আটজনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল আজ বলেন, ক্যাম্পাসের বাইরে যদি কেউ কোনো অপকর্ম করে তাহলে তার দায় ছাত্রলীগ নেবে না। যদি এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিচার হবে। আর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজিব আহমেদ জানান, তিনি শুনেছেন আট ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আজ বিকেলে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, তারা অপরাধী হলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার হবে। অভিযোগ পেলে ছাত্রলীগও এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ বিষয়টি আমাকে জানায়নি।‘ তবে বিষয়টি বিচ্ছিন্নভাবে তিনি শুনেছেন। এখন ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় এ ব্যাপারে আর বেশি কিছু জানেন না বলে জানান তিনি।