কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও ॥ শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
চলতি বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে কলা চাষ হয়েছে। অর্থকরী ফসল কলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন এ জেলার কৃষক। জেলার কৃষক অর্থকরী ফসল ধান, পাট, আলু-মরিচের পাশাপাশি কলা চাষে ঝুঁকে পড়েছে।
আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এ জেলার হতদরিদ্র কৃষক। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় দিন দিন কলা চাষের আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে কৃষকদের। এমনকি এই জেলায় উৎপাদিত কলা দেশের বিভিন্ন জেলায় রফতানি করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ১২শ হেক্টর জমিতে কলার চাষ করা হয়েছে। কলা একটি লাভজনক ফসল। দিনদিন এই জেলায় কলার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কলার চারা রোপণ করার ৯-১১ মাসের মাথায় কলার গাছে কলা ধরে এবং পাকে। প্রতি বিঘা জমিতে সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ কলার চারা রোপণ করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে কৃষক কলা উৎপাদন করে ৮০-৯০ হাজার টাকা আয় করেন।
প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। এক বার কলার চারা রোপণ করলে চার বার ফসল পাওয়া যায়। তিন জাতের কলা চাষ করে কৃষক। তিন জাতের মধ্যে রয়েছে সাগর, সরবি ও চাম্পা। তবে সরবি ও চাম্পা কলার চাহিদা বেশি।
এ ব্যাপারে কৃষক শাহরুল, রবিউলল ইসলাম, আব্দুর কাদের, জসিম উদ্দিন জানান, কলা একটি লাভজনক ফসল। জমিতে কলা চাষ করলে ওই জমিতে কলাসহ অন্যান্য সাথী ফসলও রোপণ করা সম্ভব। কলা চাষ করে এক বিঘা জমি থেকে উৎপাদন খরচ বাদে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। তাই এই এলাকার কৃষক কলা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। এছাড়াও তারা আরও জানায়, তাদের উৎপাদিত কলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রফতানি হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী খাঁন জানান, দিন দিন এই জেলায় কলা চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ হিসেবে জানান, কলা চাষে চাষিরা যেমন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছনি তেমনি কলা একটি পুষ্টিকরি ফসল এবং সব জমিতে কলা চাষ হয়।