কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও ॥ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
মাত্র কয়েকটি বছর, কয়েকটি মাস, কয়েকটি দিনেই বাতাবরনেই কর্মের মাধ্যমে অনেক অভিজ্ঞ জনপ্রিয় সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ও সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন আব্দুল মজিদ আপেল। জেলা বাসিকে দেখিয়ে দিয়েছেন জনগনের পাশে থেকে কাজ করলে মানুষ তার মূল্যায়ন করে। জনগনের যে কোন বিষয়ে তার সময় যেন ৩৬৫ দিন রাত একাকার এই তরুণ নেতার।
ঠাকুরগাঁও শহরস্ত গোয়ালপাড়া এলাকার মরহুম পিতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের একমাত্র ছেলে আব্দুল মজিদ আপেল। তাকে এই জেলায় আপেল নামেই চিনেন সবাই । ছাত্রজীবন থেকেই রাজনৈতির মাঠে আ-লীগের হয়ে সরব উপস্থিতি মানুষের চোখে পড়েছে সব সময়। আ-লীগের চরম দু:সময়েও তিনি ছিলেন দলের কান্ডারি। তাই দল তাকে মানে রেখেছে । রাজনীতিতে নীতিভ্রষ্ট না হয়ে দলের পেছনে সময় দিয়ে এক সময় দলের প্রধানের নজরে আসেন। এর পুরস্কার স্বরূপ তাকে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাধারন সম্পাদকের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। তিনি অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে তার সাংগঠনিক দতা দিয়ে পালন করেছেন সেই দায়িত্ব।
ইতিমধ্যে সকল ধর্ম বর্ণ মানুষের কাছে এক অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ বনে গেছেন তিনি। ইসলাম ধর্মের অনুষ্ঠান, সনাতন ধর্মের অনুষ্ঠান সহ জেলার যে গ্রামেই যে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হোক না কেন তিনি সেখানে হাজির হয়ে তাদের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যান। অধিকাংশ জায়গায় তার হাতের ছোয়া লেগে যায়। তার এসব কর্মকান্ডের জন্য জনগনের পাশাপাশি স্থানীয় অভিভাবক জনপ্রশাসন ও স্থানীয় এমপি ও আ-লীগের সকল নেতাদের কাছে অত্যন্ত আস্তাভাজন একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন। তরুণ বয়সে তার কর্মকান্ড সাধারনের মানুষের মনে দাগ কাটতে শুরু করেছে।
আব্দুল মজিদ আপেলের কাছে তার অভিজ্ঞতার কথা জনাতে চাইলে তিনি বলেন, ,প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শ্রদ্ধার সাথে সরণ করি জাতীর পিতা,শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ যুব লীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সকল,দলিয় আ-লীগ পরিবারের সকল নেতা-নেত্রী বৃন্দকে।তিনি আরো বলেন,তাদের আর্শীবাদ ও সহযোগীতা ছাড়া আমি এই উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারতাম না।সাথে জনগনের ভালোবাসার প্রতি সন্মান জানাতে ভোলেননি তিনি।
বিগত ১০ বছরের অধিক সময় ধরে নিষ্ঠা ও সন্মানের সাথে এই দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার সময় সরকারের তরফ থেকে এত সব আর্থিক উন্নয়নের সহযোগিতা না পেলেও আন্তরিকতা থাকা সত্বেও তাই হয়তো আমি দৃশ্যমান কিছু করতে পারিনি। সংবাদ মাধ্যমের প্রতি রয়েছে আমার অঘাত শ্রদ্ধা। আমার দাবি মিডিয়াকে আরাল করে কোন উন্নয়ন সম্ভব নয়। এলাকার সমস্যাগুলো সঠিকভাবে তথা সমৃদ্ধরুপে উপস্থাপন করার দাবি আমার।
আমাদের জানা মতে ঠাকুরগাঁও জেলায় খেলা ধুলায় রয়েছে তার অনন্ন্য অবদান। যেমন,কেরাম বোর্ড, ব্যাটমিনটন, দাবা, ফুটবল, ক্রিকেটসহ আরো বিভিন্ন রকমের খেলাধুলায় ছিনিয়ে নিয়েছেন জেলা থেকে জেলার বাহিরে অসাধারণ সন্মাননার একাধিক এওয়ার্ড। অনুপ্রেরনা জাগিয়েছেন অন্যদের কেও । তার বাড়ির সামনের দিক দিয়ে বয়ে গেছে ঠাকুরগাঁওয়ে টাঙ্গন নদীর অংশ শেনুয়া ব্রীজ। প্রতি বছর বন্যার সময় এ সব এলাকায় হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিলে সরকারি ত্রান সহযোগীতার পাশাপাশি থেমে থাকেনি তার সম্ভব্য অনুযায়ী ত্রান বিতরন। প্রতি বছর আমাদের বাঙ্গালীদের ধর্ম বর্ণ নিরবিশেষে আশে উৎসব,আর এই উৎসবকে ঘিরে থেমে থাকেনা তার সহযোগীতার হাত।
উধাহরণ, আমাদের প্রতিনিধি গত রমজান ঈদে গিয়েছিলো শুুবেচ্ছা বানির জন্য, কয়েক মিনিটের মধ্যে যা চোখে দেখেছেন রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্দা ও স্থানীয়সহ বিভিন্ন এলাকার নদীভাঙ্গন মানুষের মাঝে বিতরন করেছেন নগদ অর্থ সহ খাবার, শাড়ি-লুংগী,পানজাবি। সে সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন এ সমস্ত মানুষ আমার দেশেরই মানুষ তাই “দলের থেকে দেশ বড়-দেশের থেকে জনগন” বড়।
তিনি আরো বলেন ২০০৫ সালে আমার দল আমাকে যে সন্মান দেখিয়ে আমাকে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের আসনে বসিয়েছে আমি তাদের সেই সন্মান রাখার চেষ্টা করছি। আমার কাছে মানুষের সেবাই হচ্ছে প্রথম ধর্ম। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২ মেয়ে ও ১ ছেলের পিতা। তাদের সমন্ধে তিনি বলেন আমি তাদের পাশে খুব বেশি সময় দিতে পারিনা তবে আমার সহ ধর্মিনি তাদের যথেস্ট সময় দিয়ে লেখাপড়া সহ খেলাধুলায় মাতিয়ে রেখেছেন। তিনি একান্ত আলাপ চারিতায় সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে জনগনের কাছে আবারো দোয়া কামনা করেছেন জনগনের সেবা করার।
শহরে তার বিভিন্ন বেনার,ফেস্টুন দেখে জানতে চেয়েছিলাম যে সামনের নির্বাচন আপনার কোন ইচ্ছা আছে কি না? উত্তরে বলেন নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়ে সাধারন মানুষের সুখ দু:খের কথা ভুলে গিয়ে চেয়ার নিয়ে কী লাভ। বরং জনগনের ভোটে নির্বাচিত হতে পাড়লে নিরলোস ভাবে কাজ করে জনগনের কাছে কাংঙ্খিত সেবা পৌছে দেওয়াই আমার ল। মেয়র হওয়া বড় কথা নয় বরং ঠাকুরগাঁও পৌরবাসির সঙ্গে একত্রিত হয়ে থাকাই হলো আমার মনের ভাসনা।