খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
চলতি বছর জুন-জুলাই-আগস্টে বিশ্বে গড়ে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে। ১৮৮০ সালের পর, অর্থাৎ ১৩৫ বছরের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ। আর এ তাপমাত্রা বেড়েছে সমুদ্র ও ভূপৃষ্ঠ -উভয় অঞ্চলে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জাতীয় সামুদ্রিক ও বায়ুমণ্ডলবিষয়ক প্রশাসন (এনওএএ) এ তথ্য জানিয়েছে। এনওএএ জানিয়েছে, ‘রেকর্ড গরম পড়েছে দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকার কিছু অংশ, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম অঞ্চলে।’ সংস্থাটি আরো জানায়, ‘পূর্ব বিষুবীয় অঞ্চলে প্রশান্ত মহাসাগরের বৃহৎ অংশ, ভারত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু অংশে রেকর্ড গরম তাপমাত্রা ছিল।’ চলতি বছরের শুরুতেই এনওএএ জানিয়েছিল, ২০১৫ সাল হতে পারে এ পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণ বছর। এনওএএ জানায়, চলতি বছর জুন-আগস্টে বিশ শতকের গড় তাপমাত্রার তুলনায় সমুদ্র ও ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা দশমিক ৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এটা গত বছরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। সিএনএন জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও এ বছরের এল নিনোর কারণে গরম পড়ছে। আবহাওয়াবিদ ডেভ হেনেন বলেন, ‘এ দুটি বিষয়ই মূল কারণ। এর মধ্যে বড় কারণ হলো এল নিনো। অতীতেও বহু বছর এল নিনোর কারণে তাপমাত্রার বৃদ্ধি দেখেছিলাম।’ বিষুবরেখা বরাবর প্রধানত প্রশান্ত সাগরের পূর্বে যে গরম পড়ে, সেটাই এল নিনো। তবে আরো বিস্তৃত করে বললে, এই উষ্ণ পানিই অর্ধেক পৃথিবীতে গভীর প্রভাব ফেলে—ক্যালিফোর্নিয়ায় ভারি বৃষ্টিপাত, অস্ট্রেলিয়ায় আগুন ও প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি। গত আগস্টে এনওএএ জানিয়েছিল, ২০১৫-১৬ সালে শীতকালজুড়ে উত্তর গোলার্ধে এল নিনো থাকার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশের ওপরে এবং ২০১৬ বসন্ত পর্যন্ত এর টিকে থাকার সম্ভাবনা ৮৫ শতাংশ।