খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ :
রাজধানী ঢাকায় শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর হাট। প্রথম দিনেই শহরের প্রাণ কেন্দ্র থেকে ৪ জন ব্যবসায়ীকে আহত করে গরু বোঝাই একটি ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার গবাদি পশু সমিতি জানাচ্ছে গত বছর কোরবানির মৌসুমে মহাসড়কে একাধিক ছিনতাই এর ঘটনায় অন্তত ১৫০টি ঘরু খোয়াতে হয়েছিল।
ঢাকার একজন গরু ব্যাপারী মজিবুর রহমান বলেন, আগের বছরগুলোতে পুলিশ ট্রাক প্রতি ৪ হাজার, ৫ হাজার টাকা চেয়ে নিত কিন্তু এবার পুলিশ সে টাকা নিচ্ছে না। আমরা দুই একশ টাকা খুশি হয়ে পুলিশকে দেই। এর আগের বছরের তুলনায় এ বছর আমরা শান্তিতে আছি। চাঁপাই থেকে আসতে ৩ শত টাকা দিলে, ঢাকা পর্যন্ত আসতে আর কোথাও চাঁদা দিতে হয় না। অন্যান্য বছর যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, মাগুরা লাইনে যে পরিমাণ টাকা নিত, এবার তা লাগে না।এর আগের বছরগুলোতে এই লাইনে ট্রাক প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হত এবার দুই তিন হাজার টাকা হলেই হয়ে যায়। এই অল্প টাকা গরুর উপর তেমন প্রভাব পড়বেনা। ভারতীয় গরু প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশে আসছে। আমি ২৯টি ভারতীয় গরু এনেছি।
্মজিবুর রহমান বলেন, আমি শুনছি একটা গরুর ট্রাক ছিনতাই হয়েছে। এই ছিনতাই করা গরু দূরের হাঁটে বিক্রি করে দেয়। কয়টা হাটে গিয়ে গরু খোঁজ নেয়া সম্ভব। আমি ৩৮ বছর ধরে গরুর ব্যবসা করি। আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখছি বর্তমানে এ বছর চুরি, ছিনতাই এর ঘটনা কম।
মজিবুর রহমান বলেন, আমরা কারো সাথে যোগাযোগ করিনা। আমাদের একটা সংগঠন আছে। আমরা বোবা জাতের ব্যবসা করি, মূর্খ সমাজ আমরা এর জন্য প্রটেকশন পাই না। যেখানে যাই সেখানেই নির্যাতনের মধ্যে আছি। কোন জায়গা থেকে আমরা নিরাপত্তা পাইনা।
মজিবুর রহমান আরও বলেন, হাট এখনও পুরা ভর্তি হয় নাই। অন্যান্য বছর এ সময় হাটের বাইরে অনেক গরু থাকে। দেশের গরু পালতে প্রচুর খরচ যার কারণে দেশি গরুর দাম বেশি। গত বছর যে গরু ১ লাখ টাকা দিয়ে কিনছি এবার সেই গরু ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। যার ফলে গরু বেশি দামে বেচার চেষ্টা করব।