Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
3প্রকল্প ও উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নে আরও সক্রিয় ও আন্তরিক হওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও সচিবদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে চলতি বছরের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ‘বার্ষিক কর্ম সম্পাদনা চুক্তি’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন। খবর বাসসের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের রাজনীতির কোনো তাৎপর্য নেই, সে কারণে গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে হবে।’ বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শপথ গ্রহণে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি মেয়াদে আমাদের হাতে মাত্র তিন বছর সময় আছে। আমরা দেশকে এমন অবস্থানে নিয়ে যেত চাই যেখানে জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সাফল্য এবং জাতীয় উন্নয়ন আন্তঃসম্পর্কযুক্ত অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে কোনো মন্ত্রণালয় ব্যর্থ হলে সার্বিক জাতীয় উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণে ফলাফলভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি জরুরি। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের গৃহীত নীতি অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হতো। কিন্তু দেশি-বিদেশি কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হয়। বিগত বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুসারে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মতৎপরতার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন যে, তারা এ বছরেও অনুরূপ দক্ষতার স্বাক্ষর রাখবেন। তিনি বলেন, একটি স্বাধীন জাতি অন্যের কাছে ভিক্ষা সহায়তা ছাড়াই মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায়। বাস্তবমুখী ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কারণেই বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। সরকার মানুষের সেবক প্রভু নয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কারণে বাংলাদেশ অমর্যাদাকর অবস্থানে ছিল। কিন্তু এখন খাদ্য উৎপাদন, দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নসহ অধিকাংশ উন্নয়ন সুচকে আমাদের সক্ষমতায় বাংলাদেশ সম্মানের আসনে আসীন হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর সরকার মানুষের সেবা করতে চায়। কারণ তাদের সেবক তাদের প্রভু নয়। চলতি অর্থবছরের প্রকল্পগুলোর দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এপিএ স্বাক্ষরের পর মন্ত্রীদের বসে থাকলে চলবে না। আপনাদের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে এখন কাজ শুরু করতে হবে। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য দেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) নজরুল ইসলাম এপিএর সুবিধা ও অসুবিধার দিক তুলে ধরেন।