কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও ॥ খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ঠাকুরগাওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার জাউনিয়া নহনা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে ৩ ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষসহ ভারী যানবাহন নিয়ে জীবনের ঝুঁকিতে চলাচল করছে। প্রায় ৫ বছর ধরে সেতুটি নাজেহাল অবস্থা রয়েছে। কেউ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
জানা যায়, বিট্রিশ আমলে নহনা নদীর উপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৮০ সালে একবার সেতুটি মেরামত করা হয়। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শহর হতে ৫ কি:মি: দূরে অবস্থিত। সেতুটি উত্তর প্রান্তে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়ন অবস্থিত।
পাড়িয়া, চাড়োল ও ধনতলা ইউনিয়ন এছাড়াও ঠাকুরগাও সদর ও পঞ্চগড় জেলার অধিবাসীরা যাতাযাত করে থাকে। সেতুটি উত্তর পার্শ্বে ২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এ উপজেলার একমাত্র বড় হাট লাহিড়ী হাট, ডিগ্রী কলেজ, লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, লাহিড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফাযিল মাদরাসা সহআশেপাশে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্রিজের দক্ষিন পার্শ্বে ৫ কি:মি: মধ্যে রয়েছে হাসপাতাল, থানা, উপজেলা পরিষদ। ঢাকাগামী কোচ, ট্রাক, মিনিবাস চলাচলকরে প্রতিনিয়ত। উপজেলা ও জেলা শহর আসতে হলে এ রাস্তা দিয়ে আসতে হবে এর কোন বিকল্প রাস্তা না থাকার ফলে বাধ্য হয়ে আসতে হচ্ছে।
সাবাজপুর গ্রামের হুমায়ুন জানান, প্রতি শুক্রবার পশুর হাট বসে লাহিড়ী হাটে এহাটে ৫/৬ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে ব্রিজ নির্মান না করলে লক্ষ লক্ষ মানুষের দূঘোগ পোহাতে হবে। লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট জিল্রুর রহমান জানান, ব্রিজের উপর দিয়ে আমার স্কুলের শিক্ষাথীদের ঝুকির মধ্যে আসতে হচ্ছে। ৩নং ধনতলা ইউপি চেয়ারম্যান সমর কুমার চ্যাটারজ্জী জানান, ৩ ইউনিয়নের প্রাণের দাবী নহনা নদীর উপর ঝুকিঁপূণ ব্রিজটি নির্মাণের।
এ সেতুর উপর দিয়ে উপজেলা ও জেলা শহর একমাত্র পথ। এলাকাবাসী দূত সেতুটি নির্মানের জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।
চাড়োল ইউপি চেয়ারম্যান আবু হায়াত নুরুন্নবী জানান, সেতু নির্মানের জন্য ৪ বছর আগে সমস্যার বিষয়টি কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম জানান, পাঁচ মাস আগে রংপুর বিভাগ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করার জন্য প্রকল্প পরিচালকের বরাবরে আবেদন করা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ: মান্নান জানান, ব্রিজের দুই প্রান্তে ঝুকিপুর্ণ সেতু সাবধানে চলাফেরা করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে সাইনবোর্ড লাগানোর জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি এলজিইডির ঠাকুরগাও নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।