খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতারণার মাধ্যমে এক পাট ব্যবসায়ীর প্রায় ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শুধু আত্মসাতই নয় উৎকোচ আদায়ের পরেও অভিযোগকারীকে মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়, এবং অভিযুক্তদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পাট বিক্রয়ের ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে এসআই মিজানুর রহমান।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযোগকারী মোঃ আবদুল মান্নান ১১ আগস্ট ২০১৫ইং নওগাঁর মান্দা থানাধীন জোতবাজার এলাকা থেকে পূর্ব পরিচিত মামুনুর রশিদ দুলালের মাধ্যমে কমিশনের মাধ্যমে ৩০০ মন পাট ক্রয় করে। পরে তা ময়মনসিংহ জুট মিলে পাঠানোর জন্য ট্রাকে লোড করার পর স্থানীয় সন্ত্রাসী সোহেল, মিঠু, মনোতোষ মাষ্টারসহ ৫-৬ জন ট্রাকের গতিরোধ করে এবং তারা পাটগুলো ট্রাক থেকে নামিয়ে বাজার সংলগ্ন আব্দুল লতিফ মৌলভীর গুদামে রাখে। রাত বেশী হওয়ায় পরদিন সকালে অভিযোগকারী মান্দা থানায় একটি অভিযোগ নিয়ে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করে পরে দেখবে বলে বিদায় করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান অভিযোগকারীকে তার পাট পাইয়ে দেয়ার নাম করে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে। পরে অদৃশ্য কারণে উল্টো অভিযোগকারীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় এবং এস আই মিজানুর রহমান অভিযুক্তদের নিয়ে পাট বিক্রয় করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী আবদুল মান্নান গত ১৮ আগস্ট ২০১৫ইং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন, যার ডাইরী নং-৬৯৬ তারিখ ১৮-০৮-২০১৫ইং। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পুলিশ সুপার নওগাঁকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একটি পত্র প্রেরণ করেন। যার স্মারক নং ৪৪.০১.০০০০.০৩৬.০৫.০২৮.১৫-৯৩২ তারিখ ১৯-০৮-২০১৫ইং। যা প্রক্রিয়াধীন থাকলেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ভুক্তভোগী অভিযোগকারী আবদুল মান্নান।