খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে গত শুক্রবার পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে জাতীয় মানাবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মিজানুর রহমান বলেছেন, আমি যদি কালিহাতীর জনগণ হতাম তাহলে তাদের সাথে আমিও প্রতিবাদ সভায় অংশ নিতাম। পুলিশ তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে গুলি চালিয়েছে। যা কোন ভাবেই উচিৎ হয়নি। পুলিশের উচিৎ কাউকে রক্ষা না করে ফৌজদারি বিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ ঘটনায় যে সব পুলিশ জড়িত তাদেরকে শুধু প্রত্যাহার করলে চলবে না। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। ড. মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা কোন অসভ্য সমাজে, কোন বর্বর সমাজে বাস করছি? এখানে মানুষের মর্যাদাকে ক্ষুণœ করা হয়েছে, মাকে অপমান করা হয়েছে। এমন ঘটনায় রাষ্ট্র, প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে না। এ ঘটনাকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে ভিন্ন খাতে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পুলিশের হাতে অস্ত্র থাকলেই যদি গুলি করে তাহলে পুলিশ আর সন্ত্রাসীদের মধ্যে পার্থক্য থাকে না। তারা নিরীহ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। দোষী পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করাটাই যথেষ্ট নয়। হত্যার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আমরা দেখতে চাই।” আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার মা ও ছেলেকে দেখে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, মাতৃত্বের অপমানকে কেউ মেনে নেবে না। বিবেকসম্পন্ন মানুষ এর প্রতিবাদ করবেই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জনগণ রাস্তায় নেমেছে আর তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ সেদিন যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। এর যথাযথ বিচার হলেই কেবল মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসতে পারে।” হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ড. মিজানুর রহমান টাঙ্গাইলের কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে তিনি কালিহাতীর বেতডোবা নিহত রুবেলের বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন।