Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
97ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অভিযোগ নাকচ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের কল্যাণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। তিনি বিরোধী দল দলন, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগও নাকচ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনে অবস্থানের মধ্যেই সোমবার এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে গার্ডিয়ান। খালেদা দাবি করে আসছেন, শেখ হাসিনার শাসনে বাংলাদেশ এখন ‘গণতন্ত্রহীন’। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের বক্তব্য আসে; তারা আওয়ামী লীগ সরকারের কার্যক্রমের সমালোচনা করেন। আতাউর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে কর্তৃত্বমূলক শাসন এখন এক ব্যক্তির শাসনের দিকে যাচ্ছে। এর ফল হিসেবে গণতন্ত্র এখন খাদের কিনারায়।” বাংলাদেশ এক ‘অভূতপূর্ব’ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দাবি করে মাহফুজ আনাম বলেন, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নিঃশেষ করে ফেলেছে। এখন গণমাধ্যমের সমালোচনায় নেমেছে। বিরুদ্ধ মত সহ্য করতে পারছে না তারা। বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবনতিশীল দাবি করে তার প্রভাব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও সুখকর হবে না বলে মন্তব্য করেন টিআইবি চেয়ারম্যান। এসব অভিযোগের উত্তরে ঢাকায় দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার কাজ সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। আমার রাজনীতি সাধারণ মানুষের জন্য, নিজের জন্য নয়ৃ জনগণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আছে। “জনগণ চায়, তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হোক। আমি তাদের সেই চাহিদা পূরণেই কাজ করছি। খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও চাকরির ব্যবস্থা করছি।” ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে নিতে সরকারের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান কার্যকর, মানুষও সন্তুষ্ট। “তাহলে আপনি কী করে আমাকে বলেন যে আমি শাসন করছি। আমি শাসন করছি না, জনগণের সেবা করছি।” ২০০৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠনের পর ২০১৪ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। বিএনপির বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত ৫ জানুয়ারির ওই নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল প্রশ্ন তুলেছিল। ওই নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে আনতে নিজে উদ্যোগী হয়ে টেলিফোন করার কথা গার্ডিয়ানকে বলেন শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে ভোট ঠেকাতে বিরোধী জোটের নাশকতার ঘটনাগুলোও তুলে ধরেন তিনি। “নির্বাচনে অংশ না নিয়ে রাজনৈতিক ভুল করেছেন (খালেদা),” বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে তার সরকারের সময় বেসরকারি টেলিভিশন চালুর কথা বলেন। “এই পরিবর্তনটা কে এনেছে? এই আমি, আমিই সেই বন্ধ দুয়ার খুলে দিয়েছিলাম। এখন ৪১টি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল, প্রায় ৭০০ সংবাদপত্র। তারা লিখছে, স্বাধীনভাবেই লিখছে। এনজিওগুলো তাদের নিয়ম-নীতির মধ্যেই কাজ করছে।” যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্র চর্চার ধরন বাংলাদেশেও অনুসরণের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা গার্ডিয়ানকে বলেন, “জনগণ যতক্ষণ চায়, আমি (ক্ষমতায়) আছি। তারা যদি না চায়, তাহলে নেই।” “তবে ক্ষমতায় থাকি বা না থাকি, জনগণের জন্যই কাজ করব এবং তাই করছি,” বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।