Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
99ঈদের ছুটিতে দেশের তিনটি গ্যাসক্ষেত্র বন্ধ থাকবে। ফলে সরবরাহ নেমে আসবে অর্ধেকে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সিএনজি স্টেশন ও শিল্পে সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হতে পারে বলে পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া আবাসিকেও গ্যাসের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, রক্ষণাবক্ষেণ ও সংস্কারের জন্য ঈদের ছুটিতে বিবিয়ানা, বাঙ্গুরা ও সিলেট গ্যাসক্ষেত্র উৎপাদন বন্ধ রাখা হবে। এতে প্রায় ১৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন কমবে। এর মধ্যে শেভরনের মালিকানাধীন বিবিয়ানা থেকে দৈনিক ১২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়। এটি এককভাবে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষত্রে। এছাড়া ক্রিস এনার্জির বাঙ্গুরা থেকে দিনে আসে সাড়ে ১১ কোটি ঘনফুট ও সিলেট গ্যাস ফিল্ড থেকে পাওয়া যায় ৮৪ লাখ ঘনফুট গ্যাস। দেশের ২৬ গ্যাস ক্ষেত্র থেকে দৈনিক ২৬২ কোটি গ্যাস উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে ১৩০ কোটি ঘনফুট উত্তেলন বন্ধ থাকলে সরবরাহ প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে। যার প্রভাব পড়বে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। তবে সরকার ঈদের ছুটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে বদ্ধ পরিকর। তাই অন্য খাতে সরবরাহ কমিয়ে বা বন্ধ করে হলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ ঠিক রাখা হবে। এ বিষয়ে গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র জানায়, পরিস্থিতি সামলাতে সিএনজি স্টেশন, শিল্প ও সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হবে। ক্ষেত্র বিশেষে প্রয়োজনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। যদিও গত সপ্তাহেই যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ঈদের আগে ও পরে সাত দিন সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। এমনিতে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) জামিল আহমেদ বলেন, ‘আমরা কী ব্যবস্থা নেবো তা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনগণকে জানানো হবে।’ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদে বিদ্যতের চাহিদা ধরা হয়েছে দৈনিক সর্বোচ্চ ৭ হাজার মেগাওয়াট (প্রায়)। এর বিপরীতে মধ্যে গ্যাস দ্বারা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট। যার জন্য লাগবে দিনে ৭৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস। আর যদি গ্যাস সরবরাহ কমে যায় তবে গ্যাস দিয়ে তিন হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে বলে পিডিবির পরিকল্পনা রয়েছে। উৎপাদিত গ্যাসের ৩৯ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে, শিল্পকারখানায় ২০ শতাংশ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৬ শতাংশ, বাসাবাড়িতে ১২ শতাংশ, সার উৎপাদনে সাত শতাংশ, সিএনজিতে পাঁচ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক কাজে দুই শতাংশ গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে।