খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে ছুটছে মানুষ। ইট পাথরে ঘেরা এ শহর থেকে গ্রামীন পরিবেশে একটু সময় কাটাতে আগে ভাগেই ঘরমুখী হয়েছে অনেকে। আনন্দ-উৎসাহে বাড়ির পথে রওয়ানা দিলেও যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বাস যাত্রীরা।
দুর্ভোগ এড়াতে ঈদের চারদিন আগে বাড়ি রওয়ানা দিয়েও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছে না মানুষ। বৃষ্টি ও যানজটের কারণে আনন্দের ঈদ যাত্রা পথেই মলিন হয়ে যাচ্ছে অনেকের।
গত রোববার থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কের মির্জাপুরে প্রায় ৬০ কি. মি. এলাকা জুড়ে রয়েছে যানজট। দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে যাত্রীদের ব্যয় হচ্ছে ১৫-২০ ঘণ্টা।
যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকাল থেকে এ সড়কের যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতি মিনিটে মিনিটে এ যানজট আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের ২২ টি জেলার যানবাহন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এছাড়াও কোরবানির পশুবাহী ট্রাক চলাচল করায় চন্দ্রা থেকে মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কি পর্যন্ত যানজট হয়েছে।
এছাড়া বৃষ্টি থাকার কারণে রাস্তার বিভিন্ন ভাঙ্গা অংশে পানি জমেছে এবং রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় ধীর গতিতে যানবাহন চলছে। পাশাপাশি সড়কে গাড়ির ৩-৪টি লাইন হওয়ার কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন (পুলিশ)।
সোমবার মহাসড়কের চন্দ্রা, গোড়াই, সোহাগপাড়া, ধেরুয়া, দেওহাটা, মির্জাপুর বাইপাস, কুরনী, কদিমধল্যা ও জামুর্কি এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশ বৃষ্টিতে ভিজেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন মাইন।