খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
গত ছয় মাসে একেবারেই ফুরসত মেলেনি আসামের লিলি বেগমের। ছ’মাসে ৮৫টি সন্তান প্রসব হয়েছে তার! তাই ফুরসত পাবার কথাও নয়! অথচ সেই লিলি বেগমই কীনা এখন পুলিশের জালে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। আসামের করিমগঞ্জের হাইলাকান্দি জেলায় এক সরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন এই লিলি বেগম। আর ওই হাসপাতালের রেকর্ড বইয়ে লিপিবদ্ধ হয়েছে এমনই অবাস্তব তথ্য। সম্প্রতি লিলির এই ‘কীর্তি’র কথা সামনে আসতেই চোখ কপালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। আসলে নিরাপদ মাতৃত্বে উৎসাহ দিতে একটি প্রকল্প চালু করেছে আসাম সরকার, ওই প্রকল্প অনুযায়ী যে সমস্ত অন্তঃসত্ত্বা গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু প্রসব করাবেন তাদের প্রত্যেকেই পাঁচশো রুপি করে সরকারি সাহায্য পাবেন। আর প্রকল্পে সদ্যোজাতের মায়েদের টাকা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা লিলি সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন। গত কয়েক মাসে এ ভাবেই তার নিজের পকেটে এসেছে হাজার চল্লিশেক রুপিও। হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, ১৬০টি শিশু প্রসবের রেকর্ড দেখিয়েছেন লিলি। যার মধ্যে ৮৫টি তার নিজের নামেই নথিভুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালের এক কর্মীই এ কথা ফাঁস করে দিয়েছেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শেষমেশ পুলিশের জালে লিলি। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরই গত ১৭ সেপ্টেম্বর চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর লিলির সহজ স্বীকারোক্তি, ‘আসলে কী বলুন তো, আমাদের খুব চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়। তা ছাড়া, আমরা সে ভাবে টাকাপয়সাও পাই না। আমি শুধুমাত্র ৮০টি মাতৃত্বের বিষয়েই ভুল তথ্য দিয়েছি। হ্যাঁ, ভুল হয়ে গিয়েছে।