খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
বাংলাদেশে ধর্মীয় নির্যাতনে শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে হাজারও হিন্দু বাংলাদেশি। আর এই হিন্দু বাংলাদেশিদের শরনার্থী মর্যাদা দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভারতীয় মন্ত্রনালয়গুলোতে। ভারতীয় সররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক শীর্সসূত্রে মতে ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নোটিফিকেশনে হিন্দু বাংলাদেশিদের শরনার্থীর মর্যাদাদানের কথা বলা হয়েছিল। তবে দুই সাপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও সরকারের হাতে এ নিয়ে কোনও মডলিটি নেই। ভারতে অবৈধভাবে কতজন হিন্দু বাংলাদেশি বাস করছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চের পর থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যেসব হিন্দু বাংলাদেশি আসামে ঢুকেছে তাদের ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে বৈধভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে হবে। অপরদিকে এই মানুষগুলিকে ভারতীয় নাগরিত্ব প্রদানের কোনও প্রস্তাব ভারতীয় কেন্দ্রের নেই বলে সূত্রটি খোলসা করেছে। অর্থাৎ অসমের সংশ্লিষ্ট হিন্দু বাঙালিদের পরিচিতি কী হবে তা পুরোপুরি অনিশ্চিত। এ সম্পর্কে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে বলা হয়, তারা ভারতের নাগরিকত্বদেওয়া হবে না। এমকি শরণার্থী মর্যাদাও দেওয়া হবে না। আমরা এসব হিন্দু বাংলাদেশিদের শুধু মাত্র ভারতে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ দেবো। হিন্দু বাংলাদেশিদের পরিচিতি নিয়ে ভারতীয় কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মডালিটি প্র¯‘ত করেনি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে ভারতীয় কেন্দ্রীয় কমিটিতে। উল্লেখ্য, ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার হলেন প্রত্যেক জেলার পুলিশ সুপার। আসামে আশ্রিত হিন্দু বাংলাদেশিদের সংখ্যা নিয়ে সরকারি পরিসংখ্যান না থাকলেও বেসরকারি সূত্রে কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। একটি সূত্রে বলা হয়েছে, আসামে প্রায় ৭০ লক্ষ হিন্দু বাংলাদেশি রয়েছেন। এরমধ্যে ‘ডি’ ভোটারের হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন প্রায় ৩৬ হাজার। অন্যদিকে, অবৈধ নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রাজ্যের তিনটি ডিটেনশন ক্যাম্পে বাস করছেন ১২০ জন হিন্দু বাংলাদেশি। সারা আসাম বাঙালি যুবছাত্র ফেডারেশনের সাম্প্রতিকতম এক তথ্যে বলা হয়েছে, এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র তথা লিগ্যাসি ডাটা পেশ করতে পারেননি এমন হিন্দু বাংলাদেশির সংখ্যা ১৫ হাজার বলে দাবি এই ফেডারেশনের।