খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
এপ্রিল মাসে ভারতীয় এক পত্রিকায় একটি কার্টুন প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সাঈদ আজমলের দুর্দশা নিয়ে আঁকা হয়েছিল সেই কার্টুন। অ্যাকশন পরিবর্তনের আগে আজমলের দুসরা ছিল ব্যাটসম্যানদের আতঙ্কের নাম। আর অ্যাকশন পরিবর্তনের পর সেই আজমলই হয়ে গেলেন ‘দুসরা’ বা ভিন্ন এক আজমল। যার বোলিংয়ে আগের সেই ধার আর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও সম্ভবত ওই ধারায় চিন্তা ভাবনা করছে এখন। কারণ, আজমলকে অবসরের চিন্তাভাবনা শুরুর পরামর্শ দিয়েছে পিসিবি। অ্যাকশন শুধরে বাংলাদেশের বিপক্ষের সিরিজ দিয়েই ফিরেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কিন্তু এমনই পারফরম্যান্স দেখালেন যে পরে দল থেকেই ছিটকে পড়লেন। অথচ গত কয়েক বছরে পাকিস্তান দলে অধিনায়কদের দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও আজমলকে নিয়ে কখনো সেই সন্দেহ জাগেনি। সেই আজমল এখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই যেখানে মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট নিতেন, সেখানে স্থানীয় ক্রিকেটেই উইকেট যেন সোনার হরিণ। দলে ফেরার প্রচেষ্টায় ক্ষান্ত দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছিলেন গত কিছুদিন ধরেই। সেই চিন্তায় পালে জোড় হাওয়া জোগালো পিসিবির একটি সূত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এপিপিকে জানান, ‘জিম্বাবুয়ে এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁকে পারফরম্যান্সের জন্যই ডাকা হয়নি। সে লাইন-লেংথ মেনেই বল করতে পারছে না। সে তো বেশ কয়েকটি খেলাতেই উইকেট শূন্য ছিল।’ আজমল নিজেও ভবিষ্যৎ মেনে নিয়েছেন। নিজের টুইটারে পোস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার প্রত্যয় জানিয়েছেন। তবে ভেতরের খবর হলো একটি ‘বিদায়ী সিরিজ’ খেলেই ক্রিকেট মাঠ ছাড়তে চাচ্ছেন এই অফ স্পিনার। আর এ জন্যই এত তোড়জোড়। কিন্তু পিসিবির হাবভাবে মনে হচ্ছে ইচ্ছেটা অপূর্ণই থাকছে আজমলের।