খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ১৭ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন।
এরমধ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০ হাজার এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে ৭ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত রয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন শুক্রবার দুপুরে ধোলাইখালে এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক একই সময়ে উত্তরা ১৫ ও ১৬ নম্বর সেক্টরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন করেন।
দুই সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উভয় সিটি করপোরেশনে সাড়ে ৮ হাজার নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ৫ হাজার ২০০ ও উত্তরে ৩ হাজার ৩০০ জন কর্মী নিয়মিত নগরী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণে নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি দৈনিক মজুরিভিত্তিতে সাড়ে ৮ হাজার অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ৫ হাজার এবং উত্তরে সাড়ে ৩ হাজার কর্মী পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন।
উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ৪৮ ঘণ্টার টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই সময়ের মধ্যে রাজধানীর ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাটসহ নগরজুড়ে ঈদ উপলক্ষে জবাইকৃত পশুর রক্ত, নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য বর্জ্য অপসারণ করার কথা রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা জানান, এবার কোরবানির বর্জ্য অপসারণে তাদের টার্গেট ৪৮ ঘণ্টা। গতবার ২৪ ঘণ্টায় নগরী থেকে পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছিল। এবার ৩০ ঘণ্টার মধ্যে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদী।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন রকিব উদ্দিন জানান, তাদের নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৫ হাজার ২০০ জন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে তিন দিনের জন্য দৈনিক মজুরিভিত্তিতে আরো প্রায় ৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। মোট ১০ হাজার কর্মী দুপুর থেকে মাঠে নেমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন।
তিনি বলেন, এবারও দুই ডজনের বেশি ডাম্পার, ৬টি এক্সকাভেটর, ৫টি বুলডোজার ও ২টি টায়ার ডোজার, চেইন ডোজার, ৫টি পে-লোডার, প্রাইম মুভার, ৫টি পানির গাড়িসহ বিভিন্ন বড় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে।
এছাড়া দ্রুত বর্জ্য অপসারণের জন্য ১৩৫টি খোলা ট্রাক, নিয়মিত ৩২৫টি কন্টেইনারসহ অতিরিক্ত ২২টি কন্টেইনার, ৭৩টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৭টি কম্পেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান রকিব উদ্দিন।
কোরবানির রক্ত, বর্জ্য ও অন্যান্য আবর্জনা মাধ্যমে যাতে পরিবেশ দূষণ না হয় সেজন্য দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে জীবাণুনাশক ওষুধ মিশ্রিত পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।