Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
24রাজধানীতে পরিবার নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগের ক্ষেত্র সীমিত হলেও থেমে নেই হৈ-হুল্লোড়। গতকাল শুক্রবার ঈদের দিন এব আজ ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন নগরবাসী। ঈদের দিন কোরবানি সম্পন্ন করে বেশির ভাগ মানুষ ছুটে যান বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। যারা ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাইরে যেতে পারেননি তারা প্রিজনদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নগরীর বিভিন্ন বিনোদন স্পটে। ঢাকার রাস্তা একদম ফাঁকা হওয়ায় বাড়তি সুবিধা নিচ্ছেন তারা
ঈদের দিন রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র চিড়িয়াখানা এবং শিশুপার্কে ছিল সবচেয়ে বেশি ভিড়। এখানে সব শ্রেণির মানুষ তাদের পরিবার, পরিজন এবং ছোটদের নিয়ে ছুটে গেছে। বেলা বাড়ার সাথে পাল্টা দিয়ে বেড়েছে ভিড়।
চিড়িয়াখানা সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা জোড়ায় জোড়ায় বসে আড্ডায় মেতেছিল দিনভর। অন্যদিকে সকাল থেকেই টিকিট কাউন্টার ও প্রবেশপথে দীর্ঘ লাইন দিয়ে প্রবেশ করেছে দর্শনার্থীরা। শনিবার সকাল থেকে মানুষ চিড়িয়াখানার দিকে যেতে শুরু করেছে।
খিলক্ষেত এলাকা থেকে লিমন খাঁন ও আঁখি আফরোজ ঝুমা দুই বন্ধু এসেছেন চিড়িয়াখানা দেখতে। তারা জানান, আগে আরও একবার চিড়িয়াখানায় এসেছিলাম মা-বাবার সঙ্গে। তখন অবশ্য ছোট ছিলাম। বন্ধুদের সঙ্গে কখনও আসা হয়নি। অনেক মজা হচ্ছে। ভালো লাগছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশমুখে কথা হয় কাউছার আলম নামে স্বপরিবারে আসা এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। পরিবার নিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনে এসেছেন তিনি। এখানে অবস্থানের পরিকল্পনা সন্ধ্যা পর্যন্ত।
শিশুপার্কেও শনিবার সকাল থেকে ছিল উপচেপড়া ভিড়। পার্কের ভেতরে প্রবেশ করতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের। ভেতরে প্রবেশ করে রাইডে উঠতেও একইভাবে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে তাদের। তবুও ক্লান্তি ছিল না কারোর চেহারায়।
শিশুপার্কেও আগামী দুইদিন আরও ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও রাজধানীর হাতিরঝিল, ওয়ারীর বলদা গার্ডেন, শ্যামলীর শিশু মেলায়ও দেখা গেছে সাধারণ মানুষের ভিড়। সাভারের আমিনবাজার থেকে এসেছেন মিতু আক্তার। তিনি বলেন, শ্যামলী শিশু মেলায় এই প্রথম এলাম। আমার স্বামী প্রচণ্ড ব্যস্ত মানুষ। তিনি তেমন ছুটি না পাওয়ায় বিনোদনের সুযোগ পান না। আজ ঈদের পরদিন শনিবার সকালে স্বামীর সঙ্গে এসে বেশ খুশি।