খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
কিছুদিন আগেও পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সে দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বিসিবিকে চিন্তাভাবনার ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন সালমা খাতুন। নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক অবশ্য এখন আর আগের অবস্থানে নেই। স্বেচ্ছায় পাকিস্তান যাচ্ছেন তাঁরা। পাকিস্তানের নিরাপত্তার ওপরে ‘আস্থা’ রেখেই সোমবার দুপুরে করাচির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে নারী ক্রিকেট দল। এ সফরে সালমার দল দুটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে।
শুরুতেই টি-টোয়েন্টি। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবেন সালমা-শুকতারারা। দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি হবে ১ অক্টোবর। এর পর ৪ ও ৬ অক্টোবর দুটি ওয়ানডে খেলবেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নারী ক্রিকেটাররা। সব ম্যাচেরই ভেন্যু করাচির সাউথ এন্ড ক্লাব মাঠ।
বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেট দলকে অনেক চেষ্টা করেও পাকিস্তানে নিয়ে যেতে পারেননি সে দেশের ক্রিকেট-কর্মকর্তারা। অথচ নারী ক্রিকেট দল প্রায় বিনা বাধায় সন্ত্রাসী হামলায় জর্জরিত পাকিস্তানে যাচ্ছে। সফরের আগে নিরাপত্তা নিয়ে অনেক কথাবার্তা হলেও সালমা এ ব্যাপারে তেমন চিন্তিত নন, ‘আমাদের কোনো ভয় নেই। তা ছাড়া আমরা তো ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি, মারামারি দেখতে নয়।’
গত মাসে নারী ক্রিকেট দলকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি। পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিসিবির একটি প্রতিনিধিদল দেশটি সফর করেছিল। নিরাপত্তার পূর্ণ আশ্বাস পাওয়ায় পাকিস্তানে নারী ক্রিকেটারদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। নারী ক্রিকেট দলের ম্যানেজার শফিকুল হক জানিয়েছেন, ‘আমাদের দলকে ভিভিআইপি নিরাপত্তাব্যবস্থার প্রতিশ্র“তি দেওয়া হয়েছে। সাধারণত কোনো দেশের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীকে এমন নিরাপত্তাব্যবস্থা দেওয়া হয়ে থাকে।’
নারী ক্রিকেট দল :
সালমা খাতুন (অধিনায়ক), জাহানারা আলম, ফারজানা হক পিংকি, রুমানা আহমেদ, লতা মণ্ডল, আয়েশা রহমান শুকতারা, পান্না ঘোষ, শারমিন আক্তার সুপ্তা, ফাহিমা খাতুন, শামীমা সুলতানা, রিতু মনি, নিগার সুলতানা, খাদিজাতুল কুবরা, শারমিন সুলতানা ও নাহিদা আক্তার।
স্ট্যান্ডবাই : সানজিদা ইসলাম ও সুমনা আক্তার।