খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সাতক্ষীরার ১৩৮ কিলোমিটার সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিজিবির ৩০টি ক্যাম্প ও সুন্দরবনের একটি ভাসমান ক্যাম্প রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। ভারতে চামড়া পাচাররোধে বিজিবি ও পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এবারের ঈদে জেলায় বিপুল সংখ্যক গরু ও ছাগল কোরবানি হয়েছে। কিন্তু চামড়ার দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হয়েছে।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের চামড়া ব্যবসায়ী শফিয়ার রহমান সরদার জানান, গত বছরে কোরবানির বড় গরু চামড়া বিক্রি হয়েছে ৬-৭ হাজার টাকা। মাঝারি ও ছোট গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩-৪ হাজার টাকা। আর ছাগলের চামড়া ৩-৪শ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
কিন্তু এ বছরে বড় গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ২-৩ হাজার টাকা। মাঝারি ও ছোট গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে এক থেকে দেড় হাজার টাকা। আর ছাগলের চামড়ার দাম নেই বললেই চলে। বড় ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। ছোট ছাগলের চামড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর পাচারকারীরা ভারতে একটি বড় গরুর চামড়া পাঠাতে পারলে বিক্রি হবে ভারতীয় ৪-৫ হাজার রুপিতে। ভারতে বেশি চাহিদা গাভীর চামড়া। পাচারকারীরা লবণ দিয়ে পাচারের জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে চামড়া রেখে দেয়। পরে মোটরসাইকেল অথবা ভ্যানে করে পাচার করা হয় ভারতে।
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছেছর হোসেন জানান, চামড়া পাচার রোধ পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চামড়া পাচাররোধে গোয়েন্দা পুলিশকে মাঠে নামানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবির অধিনায়ক নজীর আহমেদ বকশি জানান, সাতক্ষীরা ও কলারোয়ার প্রায় ১০০ কিলোমিটার সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। তাদের অধীনে ১৪টি বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি এলাকা শনাক্ত করো নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত পার হয়ে একটি চামড়াও যাতে ভারতে পাচার হতে না পারে এ জন্য চামড়া নিয়ে সীমান্তমুখী কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। চামড়া পাচাররোধে যা যা করা প্রয়োজন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।