খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
কুমিল্লার লাকসামে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর জের ধরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এক যুবলীগ নেতা নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের সালেপুর ও টঙ্গীরপাড় গ্রামবাসীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে সালেপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই ইউপির ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে লাকসাম থেকে ছালেহপুর গ্রামের ২ যুবক মোটর সাইকেলযোগে তাদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে টঙ্গীরপাড় গ্রামে পৌঁছলে বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালানোর অভিযোগ তুলে কয়েক যুবক মোটর সাইকেলের দুই আরোহীকে মারধর করে। খবর পেয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রাতে ছালেহপুর থেকে টঙ্গীরপাড় গ্রামে যান। এ নিয়ে শালিসের একপর্যায়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা-হাতাহাতি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় যুবলীগ নেতা আনোয়ারের মাথা ও ঘাড়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে লাকসাম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার গভীর রাতে তিনি মারা যান। নিহত আনোয়ারের স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। এদিকে তার মৃত্যুর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোর থেকে ওই দুই গ্রামের লোকজন লাঠি-সোটা ও দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা টঙ্গীরপাড় গ্রামের কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর করে।
সংঘর্ষে উভয় গ্রামের সাখাওয়াত, রনি, শাহাবুদ্দিন, শাহজালাল, সামসুল আলম, সবুজ, মাসুদ, সেলিম, সোহাগ, আল আমিন, হুমায়ুন, কাশেম, আনোয়ার, এমরান, কবির, কামালসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে।
এ দিকে মঙ্গলবার স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম, কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুছ ভূইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সফিউল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে উভয় গ্রামবাসীকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।
ঘটনাস্থলে অবস্থানরত লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।