খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ত্রিপুরাতে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ চ্যানেল খুলতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার।
ভারতের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেড (আইওসি) এবং ত্রিপুরা রাজ্য সরকার যৌথভাবে এ আবেদন করে। ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে বাংলাদেশ হয়ে জ্বালানি গ্যাস ও বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নেওয়া হবে ত্রিপুরাতে।
ভারতের অন্যান্য অংশের সাথে ত্রিপুরার যোগাযোগ রক্ষাকারী একমাত্র সড়ক ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে (এনএইচ) ৮’ বৃষ্টি ও বন্যার কারণে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় পাশ্ববর্তী রাজ্য আসামের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিকল্প পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ স্থাপনের কথা ভাবা হচ্ছে।
এদিকে ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর থেকে রেল যোগযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে রাজ্যটি বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নদী বন্দর হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ত্রিপুরাতে জ্বালানি গ্যাস ও অন্যান্য পণ্য সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছে আইওসি।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে আশুগঞ্জ নদী বন্দরের দূরত্ব ৪২ কিলোমিটার। ত্রিপুরা রাজ্যটি তিন দিক থেকে বাংলাদেশ দ্বারা বেষ্টিত।
ইতোমধ্যে ভারতের খাদ্য সংস্থা ফুড করপোরেশন অব ইন্ডিয়া (এফআইসি) বাংলাদেশ হয়ে ভারতে খাদ্যপণ্য নেওয়ার জন্য সব কাজ সম্পন্ন করেছে। ত্রিপুরার রাজ্য সরকারও চাচ্ছে একইভাবে জ্বালানি গ্যাস ও অন্যান্য পণ্য নেওয়ার জন্য।
এফআইসি গত বছর এবং এ বছরে কয়েক দফায় মোট ৩৫ হাজার টন চাল ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও কলকাতায় সরবরাহ করেছে।
আসাম থেকে ত্রিপুরাতে যোগাযোগ রক্ষাকারী একমাত্র সংযোগ সড়কটি জরাজীর্ণ থাকার কারণে এবং রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ত্রিপুরাতে প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে রাজ্যটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মারাত্মক সংকটে পড়েছে।
গত ১ মাস ধরে ত্রিপুরাগামী জ্বালানি বহনকারী প্রায় ২৫০ টি ট্রাক এবং মাছ, আলু, পিয়াজ ও নানা রকম ফলসহ আরও ৩০০ টি ট্রাক আটকা পড়ে আছে। এই সময়ের মধ্যে মাত্র ১০ টি ট্রাক ত্রিপুরাতে ঢুকতে পেরেছে।
এর আগে আসাম সরকারের সাথে এ বিষয়ে ত্রিপুরা সরকারের বৈঠক হলেও তাতে কোনও সুফল আসেনি। সমস্যার সমাধানের দাবিতে সোমবার দুইঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করেছে কংগ্রেস।