খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শরীয়তপুর সদরে এক কিশোরীকে উপর্যুপরি ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবক ও তার দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাতে চর কাশাভোগ গ্রামে এ ঘটনায় অসুস্থ কিশোরীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ ওই যুবকসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, কাশাভোগ গ্রামের এই কিশোরীকে (১৪) বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল একই গ্রামের আলী আকবর বেপারীর ছেলে জাকির হোসেন বেপারী। কিন্তু বেশ কয়েকবার এ প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় মেয়েটির পরিবার।
এ কারণে আলী আকবর বেপারী ও তার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়। এরপর আকবর আলী মেয়েটির বাবাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকিও দেয় বলে অভিযোগে বলা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরী বাড়ি থেকে কবিরাজি চিকিৎসার একটি বই নিয়ে মনোহর বাজার মোড়ে তার বাবার কাছে যাচ্ছিল।
পথে আলী আকবর বেপারীর বখাটে ছেলে জাকির হোসেন বেপারী ও তার দুই সহযোগী এমদাদুল বেপারী ও আসাদুল বেপারী কিশোরীকে জোর করে একটি ঘরে নিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, মেয়েটির যেতে দেরি দেখে তার বাবা বাড়ির দিকে এগুতে থাকলে পথে মেয়ের চিৎকার শুনতে পান। এরপর তিনি এগিয়ে গেলে জাকির ও তার সহযোগীরা কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।
পালং মডেল থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান বলেন, ধর্ষণের পর কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তার বাবা ও স্থানীয় লোকজন তাকে সদর হাসপাতাল নিয়ে যান।
থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানান ওসি।
“কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।”
পুলিশ রাতেই ঘটনার হোতা জাকির বেপারী, আসাদুল বেপারী ও এমদাদুল বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের ডা. আবদুল মুইত বলেন, “কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমি তাকে চিকিৎসা দিয়েছি। এখন তার জ্ঞান ফিরেছে।”