খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজারকে হত্যা সুপরিকল্পিত। এ হত্যার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যোগসূত্র রয়েছে।’ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ৩ অক্টোবর বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা শীর্ষক এক বর্ধিত সভায় বুধবার বিকেলে তিনি এ সব কথা বলেন। গত সোমবার গুলশানে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন ওই ইতালির নাগরিক। হানিফ বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইতালির নাগরিককে হত্যা করেছে। তারা একাত্তরের পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে এ সব হত্যাকাণ্ড করেছে।’ আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘জামায়াতের জেনারেল সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আপিলের চূড়ান্ত রায় প্রকাশ পেয়েছে। এ রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে। জনগণ চায় এই রায় শীঘ্রই কার্যকর হোক।’ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ সম্মান ‘চ্যাম্পিয়ান অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি যখন সম্মান নিয়ে দেশে ফিরবেন ঠিক তখনই ইতালির নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। এটা সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। শেখ হাসিনার অর্জনকে ম্লান করে দেওয়ার জন্যই এটা করা হয়েছে।’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘গণসংবর্ধনা সফল করার জন্য রাস্তায় যাতে বিশৃঙ্খলা ও জনগণের ভোগান্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখব। রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা জানাব। সবাই ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে আসবেন। তবে সেখানে কারো ব্যক্তিগত ছবি থাকবে না। ছবি থাকবে একমাত্র শেখ হাসিনার। সবার হাতে থাকবে জাতীয় ও দলীয় পতাকা। আর রাস্তার দুই পাশ থেকে ফুলে পাপড়ি ছিটাবেন।’ ৩ অক্টোবরের পর দেশ ছেড়ে জঙ্গিরা পালিয়ে যাবে বলেও জানান মায়া। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া প্রমুখ।