খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ০১ অক্টোবর ২০১৫
খুলনা মহানগরের সোনাডাঙ্গা এলাকার রিকশাচালক আলম শেখকে (৩৫) হত্যার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী মনিরা বেগম ও দুই শ্যালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মনিরা বেগম স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মনিরা বেগম (৩৫) বুধবার বিকেলে খুলনা মহানগর হাকিম ফারুখ ইকবালের কাছে ওই জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার কারণে মনিরা তাঁর প্রেমিক ইমরানের সহায়তার এই হত্যাকাণ্ড ঘটান বলে স্বীকারোক্তি দেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ডাক্তার গলিতে নিজ বাসায় গত সোমবার ২৮ সেপ্টেম্বর রিকশাচালক আলম শেখকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পরের দিন মঙ্গলবার রাতে মনিরা বেগম ও তাঁর দুই ভাইকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মনিরা বেগম নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে চান। আজ বুধবার বিকেলে তাঁকে মহানগর হাকিম ফারুখ ইকবালের খাস কামরায় পাঠালে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওসি মারুফ আহমেদ জানান, ১৬৪ ধারায় মনিরা বেগম জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তিনি তাঁর প্রেমিক ইমরানকে নিয়ে তাঁর বাসায় শুয়ে ছিলেন। এই সময় তাঁর স্বামী ঘরে ঢুকে ইমরানকে চড় মারেন। পরে ইমরান ও তিনি মিলে তার দিয়ে স্বামী আলম শেখকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন। পরে ঘরের চালের সঙ্গে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন।
ওসি আরো জানান, মনিরা বেগম তিন সন্তানের জননী। তাঁর প্রথম সন্তানের বয়স ১২ বছর। মনিরা বেগম তিন বছর আগেও একবার এই ইমরানের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে সন্তানদের কথা বিবেচনা করে আবার ফিরে আসেন স্বামীর ঘরে।মনিরার প্রেমিক ইমরানকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।