খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ০১ অক্টোবর ২০১৫
মুখোমুখি অবস্থানে পুলিশ ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ফলে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে শাহবাগে। আন্দোলনরতরা বলছেন- ব্যরিকেড সরিয়ে দিতে। তাদের শাহবাগ প্রধান সড়কে যেতে দিতে হবে। কিন্তু এ বিষয়ে পুলিশ হার্ড লাইনে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের মিছিল শহীম মিনার থেকে শাহবাগ আসলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
রমনা জোনের এসি শিবলী নোমান আমাদের সময় ডটকমকে বলেন, প্রধান সড়কে কিছুতেই যেতে দেয়া হবে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ গণগ্রš’াগার অধিদপ্তরের সামনে পুলিশ ব্যরিকেড দিয়ে রেখেছে। এর পাশে রয়েছে- রায়োট কার, জলকামান, প্রিজন ভ্যান। সতর্ক অবস্থায় অবস্থান করছেন বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। আর কিছুক্ষণ পরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আন্দোলনরতদের উত্তেজনাপূর্ণ কথাবার্তা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বারবার ব্যরিকেড টপকে যেতে চাচ্ছেন নানা কিছু বুঝিয়ে। কিন্তু পুলিশও তাদের বুঝিয়ে যাচ্ছেন।
শাহবাগ থানার ওসি আবুবকর সিদ্দিকী আমাদের সময় ডটকমকে বলেন, অ্যাকশনে না গিয়ে আমরা সর্বো”চ চেষ্টা করে যাব শিক্ষার্থীদের বোঝাতে।
এদিকে, ব্যরিকেড ডিঙানো, না ডিঙানো নিয়ে আন্দোলনরতদের মধ্যেই মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। একপক্ষ বলছে- ব্যরিকেড ভেঙে এগুবে, অন্যপক্ষ বলছে- ব্যরিকেড টপকালে পরিস্থিতি ঘোলাটে হবে। সেটা তারা চান না।
এসব কথাবার্তা নিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই উভয়পক্ষের মধ্যে উ”চস্বরে বাদানুবাদ চলছেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আন্দোলনরতদের যে অংশটি ব্যরিকেড টপকাতে চাইছে, সে অংশ বামছাত্র সংগঠনের। এতে রয়েছে- সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশনসহ আরো কয়েকটি। অবশ্য আন্দোলনরতদের কিছু অংশ তাদের হস্তক্ষেপকে বাড়াবাড়ি বলে মন্তব্য করছেন।
ইমতিয়াজ নামের একজন শিক্ষার্থী বলছেন, বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাদের আন্দোলনকে নষ্ট করছে। শুরুর দিক থেকে তারা যে সহযোগিতা আমাদের করেছে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে যা করছে সেটা নিতান্তই বাড়াবাড়ি। এটা আমাদের আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে।
সর্বশেষ দুপুর ২টায় এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা গণগ্রš’াগার অধিদপ্তরের সামনে দেয়া ব্যরিকেডের এখানেই অবস্থান করে সমাবেশ চালাচ্ছে।