খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ০১ অক্টোবর ২০১৫
পদ্মা বহুমুখী সেতুতে রেললাইন প্রকল্প সংযুক্ত করা হলেও কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে তা ঠিক করা যায়নি এখনো। রেল মন্ত্রণালয় বলছে, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে চীন সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে কর্মসূচি ঠিক করা যাবে।
এদিকে, মূল সেতুর দায়িত্বে থাকা সেতু বিভাগের সঙ্গেও নিয়মিত সমন্বয় করছে রেল মন্ত্রণালয়।
গত বছরের শেষের দিকে কাজ শুরু হয়েছে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর। এ সেতুর পাশাপাশি দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে রেল সংযোগের আওতায় আনার পরিকল্পনাও রয়েছে। যেখানে রাজধানীর কমলাপুর থেকে ছাড়া ট্রেন গে-ারিয়া হয়ে ৪৪ কিলোমিটার দূরের মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত যাবে। সেখান থেকে সাড়ে ৬ কিলোমিটার মূল পদ্মা সেতু দিয়ে যাবে অন্য প্রান্ত জাজিরায়। আর জাজিরা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত বসানো হবে ৩১ কিলোমিটার রেল লাইন। এ কাজের দ্বিতীয় ধাপে ভাঙ্গা থেকে নড়াইল হয়ে যশোর পর্যন্ত ৭৯ কিলোমিটার রেল সংযোগ দেয়া হবে।
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি কয়েকমাসের মধ্যেই আমরা এর নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারবো।’
এ কাজের জন্য চীনের সরকারি কোম্পানি চায়না রেলওয়ে গ্র“প লিমিটেডের সঙ্গে স্বাক্ষর হয়েছে চুক্তি। দু’দেশের রেল কর্মকর্তারা এখন চূড়ান্ত করছেন কাজের প্রয়োজনীয় ধাপগুলো। মূল পদ্মা সেতুর দায়িত্বে থাকা সেতু বিভাগের সাথেও চলছে নিয়মিত সমন্বয়।
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান কাজী মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘চুক্তির পর নানান প্রক্রিয়া শেষে একনেকে অনুমোদনের পর লোন এগ্রিমেন্টর পরই কন্টাক্ট ইফেক্ট হবে এবং কাজ শুরু হবে।’
প্রথম পর্যায়ে রেলপথ নির্মাণের জন্য ৩৬১ হেক্টর জমি প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে কিছু জমি সড়ক জনপথ, সেতু কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি জলমহল থেকে পাওয়া গেলেও এখনো ২৪৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।