খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ০১ অক্টোবর ২০১৫
ফেনীর ফুলগাজীতে এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে (২০) গণধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করেছে বখাটেরা। ওই নারী বর্তমানে ফেনী সদর হাসপতালে চিকিৎসাধীন।
ফুলগাজী উপজেলার মনতলা গ্রামে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বাবা আবদুল মান্নান স্থানীয় বখাটে হুমায়ুন (২৬), হেলাল (২৫), মো. রুবেলের (২৪) নাম উল্লেখ করে ফুলগাজী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, বুধবার রাতে ফুলগাজী উপজেলার মনতলা গ্রামের রিকশাচালক আবদুল মান্নানের মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে তিন বখাটে ঘরে প্রবেশ করে গণধর্ষণ করে। পরে তার মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই বখাটেরা ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাতে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার সময় মেয়েটির বাবা ফুলগাজী বাজারে রিকশা চালাচ্ছিলেন এবং মা পাশের নানীবাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা আবদুল মান্নান জানান, বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর সঙ্গে মেয়েটির ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কয়েক মাস ধরে স্থানীয় বখাটে হুমায়ুন, হেলাল ও রুবেল তার মেয়েকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করছিল। বুধবার মেয়েকে গণধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা করে তারা। মধ্যরাতে তারা তাকে ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি না জানাতে হুমকি দেয়। পুলিশকে জানালে তার পরিবারের সকলকে হত্যা করে ঘর জ্বালিয়ে দেবে বলেও ভয় দেখায়।
তিনি রাতেই পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটির বাবা তিন বখাটের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ফুলগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাঈনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত হুমায়ুন স্থানীয় আওয়ামী লীগকর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
ফেনী সদর হাসাপতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরওয়ার জাহান জানান, মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের বিষয়টি জানা গেছে। প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনী সদর হাসপাতালে মেয়েটিকে দেখতে যান। তিনি এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত সকলকে আইনের আওতায় আনার জন্য তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কেউই রেহাই পাবে না।
ওসি মো. মাঈনুদ্দিন আরও জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।