খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ০২ অক্টোবর ২০১৫
বোরখা পরে মন্দিরে গরুর মাংস ছুড়ে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়লেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) এক কর্মী।
ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মন্দিরের ভেতর মাংসের টুকরো ছুড়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে বোরখা পরা এক লোক। বোরখা উল্টে দেখা যায়, তিনি নারী নন, পুরুষ। তার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়-এ বলা হয়েছে, ধরা পড়া বোরখাঢাকা লোকটি আরএসএসের কর্মী। সংখ্যালঘু সেজে মন্দিরে গরুর মাংস ছুড়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির উদ্দেশে তিনি এই কাজ করেছেন। টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে এমনই দাবি করা হয়েছে।
ধরা পড়ার পর ওই লোককে নিয়ে রাস্তায় মিছিল বের করে স্থানীয় লোকজন। স্থানীয়দের দাবি, পবিত্র স্থান মন্দির কলুষিত করার গভীর ষড়যন্ত্র ছিল তার এবং তিনি হিন্দু-মুসলিম সংঘাত বাধাতে অপচেষ্টা চালিয়েছেন।
এদিকে ভারতের বিভিন্ন অংশে সম্প্রতি গরুর মাংস নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে চলেছে। কয়েক দিন আগে বাড়িতে গরু হত্যা করেছে- এমন গুজবে গ্রেটার নয়ডার দাদরিতে বিসরাখা গ্রামে ৫৮ বছর বয়সি মোহাম্মদ আখলাখ নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে স্থানীয় হিন্দুরা। বিষয়টি নিয়ে ভারত ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে তুমুল বিতর্কের জন্ম দেয়। পরে জানা যায়, দুই যুবক স্থানীয় মন্দিরের পুরোহিতকে জোর করে গরু হত্যার ঘোষণা দেওয়াতে বাধ্য করে। এই ঘোষণায় লোকজন জড়ো হয়ে মোহাম্মদকে পিটিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে আজমগড়ের ঘটনায় এখন আরএসএসের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে- তাহলে কি মন্দিরে গরুর মাংস ছোড়ার পেছনে তাদের কোনো ইন্দন আছে? যদিও আরএসএসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো কিছু বলা হয়নি।