খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ০২ অক্টোবর ২০১৫
বয়স ১৫। নাম সতিশ। দশম শ্রেণীর ছাত্র। কৃষকের সন্তান। স্কু ফি ঠিকভাবে দিতে না পারায় প্রিন্সিপালের চড়। সেইসঙ্গে আরও পাঁচজনের সঙ্গে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা। এই অপমানই সহ্য হয়নি সতিশের। আর তাই জীবন শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা এবং বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গনা রাজ্যের করিমনগর জেলায়। স্থানীয় পেদ্দাপল্লী বেসরকারি স্কুলে পড়ত সতিশ। বুধবার প্রিন্সিপাল তাকে অপমান করে। সহ্য করতে না পেরে দুপুরের বিরতির সময় বাড়িতে এসে মোবাইল ফোনে সব ঘটনার কথা ভিডিও করে সে। এছাড়া একটি চিরকুট লিখে ঘরের টিভি সেটের কাছে রাখে। যাতে পিতা-মাতাকে উদ্দেশ্য করে লেখা ছিল, তাকে যেন খোঁজাখুঁজি না করা হয়। আর মোবাইলের ওই ভিডিওটি দেখতে বলা হয়।
ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি মালগাড়ী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার চিরকুট ও ভিডিও উদ্ধার করে তার লাশ শনাক্ত করে পরিবার। ভিডিওতে সতিশ বন্ধুবান্ধবকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি বলেছিল, স্কুল ফি হিসেবে সে ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার রুপি দিয়েছে। এর বেশি তার পরিবারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না।