খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ০৩ অক্টোবর ২০১৫
কোনো অবস্থাতেই স্বাভাবিক হচ্ছে না নিত্যপণ্যের বাজার। সবজির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে আবারও বাড়ছে। ধনেপাতা কেজি বিক্রয় হচ্ছে ৪০০ টাকা। শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে আলু ছাড়া বেশির ভাগ কাঁচাপণ্যের প্রতিকেজির দর অর্ধশত টাকার ওপরেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। আলুর দামও বেড়েছে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা। এতে করে নিš§ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা বিপাকে পড়েছে। গত ২ মাস ধরে এমনিভাবেই পণ্যের দর অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে চলছে। ব্যবসায়ীরা এতদিন দোহাই দিয়েছেন বৃষ্টির আর এখন দিচ্ছে ঈদের। ব্যবসাহীরা বলেন, এখনো ঈদের রেশ কাটেনি রাজধানীর কাঁচাবাজারে। বাজারে পণ্যের আমদানি স্বাভাবিক হয়নি, সরবরাহ কম। ঈদের ৬ দিন পর শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে। বেশিরভাগ বাজারে চড়া দামে বিক্র হচ্ছে। সবজির দাম কমেনি কেন? জানতে চাইলে ফার্মগেট বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা সোহেল বলেন, কোরবানির সময় এমনিতেই কয়েকদিন সবজির চাহিদা ও বিক্রি কম থাকে। বিক্রেতারা বাড়তি সবজি আনতে চায় না। আমদানি কম, কাস্টমারও কম। তাই দাম একটু বেশি। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যে সবজির দাম কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে, ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতা মানিক মিয়া। তিনি বলেন, রোজার মাসে দোকানদাররা সব পণ্যে ডাকাতি করেছে। কোরবানির আগে মসলা বিক্রিতেও ক্রেতাদের গলা কেটেছে। এখন ঈদ শেষ হলেও কোনো কিছুরই দাম কমেনি উল্টে সব কিছুর দাম বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা গত সপ্তাহ দেশি কাঁচামরিচ কেজি ছিল ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা শুক্রবার তা বেড়ে বিক্রয় হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। এ ছাড়া শিম কেজি ৭০-৮০ টাকা, করলা কেজি ৬০-৮০, পেঁপে কেজি ৩০-৩৫, পটল কেজি ৫৫ টাকা থেকে ৬০, কচুমুখী কেজি ৩০-৪০, বেগুন কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা কেজি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, চিচিংগা কেজি ৫০- ৬০ টাকা, কাঁকরোল কেজি ৬০, পেঁয়াজ কেজি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসি ৫৫০-৬০০ টাকা, কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। রাজধানীর খুচরা মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই ২০০-২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২০০, সিলভার কার্প ১২০-১৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৪০০-১০০০ টাকা, পুঁটি ১৮০-২০০ টাকা, মলা ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা, বোয়াল ৩৫০-৪৫০ টাকা, শিং ৫০০-৬০০, দেশি মাগুর ৬০০-৬৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ১৫০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সুগন্ধি চালের মধ্যে কাটারি ভোগ ৮৫ টাকা, কাল জিরার প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা। বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছে ৩৫-৪০ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৪৪-৪৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে।