Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ০৩ অক্টোবর ২০১৫
50মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত নেতাদের রায় নিয়ে চুপ থাকলেও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বিএনপি। ভিন্ন ইস্যুর নামে পালিত হয়েছিল বিক্ষোভ। চট্টগ্রামে পালন করা হয় হরতাল। কিন্তু আপিল বিভাগে তার ফাঁসির রায় বহাল থাকা, পরবর্তীতে মৃত্যু পরোয়ানা জারি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দলটি। তবে এখনো আশা ছাড়েননি সাকা চৌধুরীর রাজনৈতিক সহকর্মীরা। তাদের প্রত্যাশা,আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউতে তিনি ন্যায় বিচার পাবেন। গত বছরের ১ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে (সাকা চৌধুরী) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় বিএনপি। সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেয়া রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘এ রায়ে আমরা বিস্মিত হয়েছি। এই ট্রাইব্যুনাল গঠন ও বিচারিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে ইতিমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিএনপি সব সময় স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিচারের পক্ষে। কিন্তু প্রমাণ হয়েছে, এই বিচারের নামে সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।” পরবর্তীতে ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল ও সুপরিকল্পিতভাবে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের’ প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। শুধু তাই নয়, বিএনপির প্রতিক্রিয়ার পর খালেদা জিয়া ও দলের নেতাদের কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, ‘রায় নিয়ে যেটা আলমগীর ভাই (মির্জা ফখরুল ইসলাম) পড়ে শুনিয়েছেন, এরপর ফাঁসি হলেও আমাদের আর দুঃখ থাকবে না।” পরে ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন সাকা চৌধুরী। কিন্তু আপিল বিভাগ গত ২৯ জুলাই আগের রায় বহাল রেখে রায় দেন। ৩০ সেপ্টেম্বর রায় প্রকাশ হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়। যা ইতিমধ্যে কারাগারে পৌঁছে গেছে। আইন অনুযায়ী রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আসামি পক্ষ রিভিউ করতে পারবেন। সবশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ারও সুযোগ থাকছে। এরপরেও আপাতদৃষ্টিতে ফাঁসির হাত থেকে তার মুক্তির কোনো সুযোগ থাকছে না! তবে দলের শীর্ষ নেতার ‘অন্তিম’ সময়ে বিষয়টি নিয়ে আগের মতো বেশি কথা বলতে চান না বিএনপি নেতারা। কেউ আবার কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। কারো বক্তব্য- দায়িত্বপ্রাপ্তরা এ নিয়ে কথা বলবেন। আদালতের বিষয় হওয়ায় কেউ কেউ ‘আতঙ্কে’ মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না। দলটির একজন শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি স্পর্শকাতর তাই অনেকে কথা বলতে চাচ্ছেন না। কারণ বিচারের পক্ষে থাকার পর এখন বিচার কার্য্করের আগ মুহুর্তে আগের মতো প্রতিক্রিয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।” এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.)মাহবুবুর রহমান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “বিষয়টি যেহেতু আইন আদালতের ব্যাপার, এটা নিয়ে আসলে আমি কমেন্টস করতে চাই না।” আর দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী নেতারাই কথা বলবেন। আপনি আমাদের দলের মুখপাত্রের সঙ্গে কথা বলুন, তিনি দলের অবস্থান সম্পর্কে বলবেন।” তবে বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “আমরা আশা করি তিনি (সাকা) রিভিউতে ন্যায় বিচার পাবেন। এছাড়া এ নিয়ে শীর্ষ নেতারা প্রতিক্রিয়া দেবেন। তবে বিচার নিয়ে আমরা আগের অবস্থানেই আছি।