খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০১৫
যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার মধ্যরাতে উপশহরের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অভিযানকারীরা পর্যায়ক্রমে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের বাড়িতেও যায়। কিন্তু বাড়িতে না থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি। সাবেরুল হক সাবুর স্ত্রী হেলেন আফরোজা বলেন, ‘রোববার রাত দেড়টার দিকে আটটি গাড়িযোগে বেশ কিছু সংখ্যক পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের সদস্য আমাদের উপশহরের বাড়ি ঘিরে ফেলে। এরপর তারা আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। যদিও তিনি সব মামলায় জামিনে আছেন।’ স্বামীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোথায় নিয়ে গেছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ওই গৃহবধূ। তিনি এই সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন না ভাই, ওকে কোথায় নিয়ে গেল।’ ঘটনার পর পরই জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, ‘আমি বাসায় আছি। বিএনপি নেতা গ্রেফতারের কোনো খবর আমার কাছে নেই।’ র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার কাওছার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘র্যাবের কোনো টিম বাইরে অভিযানে নেই।’ কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাছ আলী বিএনপি সাবেরুল হককে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতির কারণে এডভোকেট সাবেরুল হক সাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’এর বেশি কিছু বলতে চাননি ওসি। এদিকে, এডভোকেট সাবুকে গ্রেফতারের পর অভিযানকারী দলটি যায় জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের উপশহরের বাসায়। কিন্তু মিজানুর রহমান বাসায় ছিলেন না। সে কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাত আড়াইটার দিকে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, তার বাড়িতেও হানা দিয়েছে পুলিশ। রাত ২টার দিকে একদল পুলিশ খোকনের ধর্মতলার বাড়িতে যায়। তারা বাড়িটি তল্লাশি করে। প্রসঙ্গত, এডভোকেট সাবেরুল হক সাবু ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দায়ের হওয়া কয়েকটি মামলার আসামি হিসেবে কয়েক মাস কারাগারে ছিলেন। গত রোজার ঈদের পর তিনি মামলাগুলো থেকে জামিনে মুক্তি পান। অন্যদিকে, দেলোয়ার হোসেন খোকন ও মিজানুর রহমান খানও একই মামলায় দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। তারা গত মাসে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পরে একে একে সব মামলায় জামিন পেয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তারা যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।