Mon. May 5th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০১৫
31চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সচিবালয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৫’ ও ‘রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৫’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এর আগে ২৩ মার্চ আইনের খসড়া দুটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান। বর্তমানে দেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’ একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এ দুটি স্থাপন হলে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হবে তিনটি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও ওই অঞ্চলের অন্যান্য মেডিকেল কলেজ চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এফিলিয়েটেড (অধিভুক্ত) হবে। একইভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও ওই অঞ্চলের অন্যান্য মেডিকেল কলেজ রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এফিলিয়েটেড হবে।’ দুটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠদান করা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নার্সিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। নার্সিংয়ের স্নাতক কোর্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হবে।’ ‘যে আঙ্গিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে একই আঙ্গিকে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে। প্রথমে আইডিয়া ছিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজকে আপগ্রেড করে বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। তবে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থাকবে। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পৃথকভাবে হবে’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদনের সময় নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, ‘বর্তমান সরকারের বিশেষ লক্ষ্য হল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির জন্য উচ্চশিক্ষা ও আরও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় হলে একদিকে উচ্চতর শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়, অপরদিকে গবেষণা সুযোগ তৈরি হয়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারছে না। আমাদের আরও দক্ষ জনবল, আরও চিকিৎসক দরকার।’ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আইনের খসড়া দুটি প্রণয়ন করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের গঠন ও ক্ষমতা, ইউজিসির (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) এখতিয়ার, পাঠদান পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবিধি, বিধিমালা এবং প্রবিধানমালার কথা বলা আছে দুটি আইনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর (আচার্য) হবেন রাষ্ট্রপতি। চার বছরের জন্য ভিসি (উপাচার্য) নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে একজন সর্বোচ্চ পর পর দুই মেয়াদে ভিসি থাকতে পারবেন বলে খসড়া দুটি আইনে বলা হয়েছে। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি থাকবেন দু’জন। এ ছাড়া থাকবেন কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্টার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ হিসেবে থাকবে সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, ফ্যাকাল্টি, ডিনস কমিটি, কারিকুলাম কমিটি, ফাইন্যান্স কমিটি।