Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০১৫
51নেপালে এ বছরের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর আয়োজিত প্রথম এভারেস্ট ম্যারাথনে নেপালি সেনাবাহিনীর এক সদস্য ভীম বাহাদুর গুরুং জয়ী হয়েছেন। এভারেস্ট ম্যারাথনকে বলা হয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ ও সম্ভবত কঠিনতম ম্যারাথন দৌড় – যা এভারেস্ট বেস ক্যাম্প এলাকার দুর্গম কিন্তু অপূর্ব সুন্দর বরফে ঢাকা পার্বত্য পথ ধরে সম্পন্ন হয়। ২০০৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ম্যারাথন দৌড় প্রতি বছরের ২৯ মে-তে অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ মে হল এভারেস্ট দিবস, যেদিন শেরপা তেনজিং নোরগে ও স্যার এডমন্ড হিলারি সর্বপ্রথম বিশ্বের এই সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করেছিলেন। কিন্তু এ বছরের ২৫ এপ্রিল ও ১২ মে, পর পর দুটো বিধ্বংসী ভূমিকম্পের ধাক্কায় লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল এভারেস্ট বেসক্যাম্প এলাকা। মারাত্মক তুষারধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু পর্বতারোহী ও শেরপা। এই সফল ম্যারাথন এভারেস্টে আবার পর্যটক ও পর্বতারোহীদের টেনে আনতে পারবে বলেই আমাদের আশা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর এভারেস্ট ম্যারাথনের সংগঠকরা স্থির করেন, এ বছরও দৌড় বাতিল করা হবে না – বরং নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে দিয়ে ৫ অক্টোবর ম্যারাথনের আয়োজন করা হবে। এ বছরের ম্যারাথনে মোট ৫৪জন অংশ নিয়েছিলেন, তার মধ্যে ২৭ জনই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। তবে সংগঠকরা জানান, ভারত, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে কোনও দৌড়বীর প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি। এই প্রতিযোগিতার পুরো নাম ‘তেনজিং হিলারি এভারেস্ট ম্যারাথন’। এই ম্যারাথনের ইভেন্ট ম্যানেজার শিখর পান্ডে এভারেস্টের ‘প্রবেশপথ’ নামচেবাজার থেকে এদিন বিবিসিকে জানান দৌড় সম্পন্ন হয়েছে খুব ভালভাবে। ম্যারাথনে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছেন যথাক্রমে ভীম বাহাদুর গুরুং ও সুরেন্দ্র বাসনেট। তারা দুজনেই নেপালের সেনাবাহিনীর সদস্য। ভীম বাহাদুর গুরুং দৌড় শেষ করেন ৪ ঘন্টা ১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। তা ছাড়া এভারেস্টের পাদদেশে অবস্থিত লুকলা ফ্রেন্ডস ক্লাবের পাসাং লামা – যিনি এভারেস্ট অঞ্চলেরই বাসিন্দা – তিনি ম্যারাথনে তৃতীয় হয়েছেন। ম্যারাথন আয়োজন কমিটির সদস্যরা আশা করছেন এ বছর এই দৌড়ের সাফল্য ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত নেপালে আবার পর্যটকদের টেনে আনতে সফল হবে। ওই কমিটির প্রধান বিক্রম পান্ডে বিবিসিকে বলেন, ‘নেপালে এভারেস্ট এলাকার মতো বহু জায়গাই যে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও পর্যটকরা নিশ্চিন্তে এখানে আসতে পারেন তা আজ প্রমাণ হয়ে গেল