খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০১৫
রাজধানীতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মুহ্ম্মদ খিজির খানকে ঘরে ঢুকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা জানা যায়নি। নিজের বাড়িতে একটি খানকাহ শরীফ ছিল তার, সম্ভবত তিনি কোনো পীরের মুরিদ ছিলেন।
মধ্য বাড্ডার বাড়িতে সোমবার সন্ধ্যায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ঢুকে খিজির খানকে খুন করে পালিয়ে যায় বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান। ছয় তলা ভবনের মালিক খিজির খান পরিবার দিয়ে তৃতীয় তলায় থাকেন। দোতলায় রয়েছে তার রহমতিয়া খানকা শরীফ। সেখানেই তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ওই ভবনের সামনে মুদি দোকানি মো. ওয়াহাব বলেন, বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ৫/৬ জন ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পাশের একটি লন্ড্রি দোকানের কর্মী আবুল কালাম ঘটনার পরপরই ওই বাসায় ঢোকেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খিজির খানের লাশ বাথরুমে পড়ে ছিল। হাত-পা ছিল বাঁধা, গলা কাটা। ঘটনার পরপরই শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ৫/৬ জনের একটি দল এই হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে।
তবে কী উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।” এক বছর আগে ২০১৪ সালের ২৭ অগাস্ট ঢাকার রাজাবাজারের বাসায় একইভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিল ইসলামী ফ্রন্টের নেতা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে। তার আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে রাজধানীর গোপীবাগে খুন করা হয় কথিত পীর লুৎফর রহমানকে। দুটি হত্যাকাণ্ডের কোনো কূল-কিনারা গোয়েন্দারা করতে না পারলেও তাদের ধারণা, মতাদর্শিক বিরোধের কারণে জঙ্গিবাদীরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। গত কয়েক বছরে কয়েকজন ব্লগার ও লেখকও বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাদের খুনের পেছনেও জঙ্গিদের সন্দেহ করা হয়।
তবে সম্প্রতি ঢাকা ও রংপুরে দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে বাড্ডায় খুন হলেন প্রকৌশলী খিজির খান। তবে বিদেশিদের গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। বিদেশি হত্যাকাণ্ডে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি দল আইএসকে জড়িত বলে দাবি উঠলেও তা সরকারের পক্ষ থেকে নাকচ করা হয়েছে।