খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০১৫, নীলফামারী
সৈয়দপুর জীবন বীমা করপোরেশন অফিসের পিছনে রেললাইন ধারে বসে ক্রিকেট জুয়ার আসর। ওই জুয়ায় প্রায় কয়েক শতাধিক খেলোয়াড় অংশ নেয়। খেলা চলে প্রায় কোটি টাকার। ক্রিকেট এ জুয়া খেলতে আসে জেলার ডোমার, ডিমলা, নীলফামারী, কিশোরগঞ্জ, জলঢাকা, পার্শ্ববর্তী রংপুর, তারাগঞ্জ, চিকলি, দিনাজপুর, ঠাকুরগাও সহ বেশ কিছু জেলা ও উপজেলার জুয়াড়-রা। খেলা যখন শুরু হয় তখন থেকে চলে বাজিধরা জুয়া খেলা। নিম্নে ১ হাজার টাকা থেকে বাজি শুরু হয়ে উর্ধ্বে প্রায় কয়েক লাখ টাকা। টি-২০ এবং ৫০ ওভারে চলে বাজি। প্রথমে পাওয়ার প্লে ১৫ ওভারে এ জুয়া চলে জমজমাট। রান, ছক্কা, ওভার এবং টিম অনুপাতে জুয়া চলে। খেলা শুরু হলে রেললাইন ধার যেন জুয়াড়ীদের হাটে পরিণত হয়। হঠাৎ কেউ এ দৃশ্য দেখলে ভাববে এখানে গরুর হাট লেগেছে। প্রতি খেলায় লেনদেন হয়ে থাকে প্রায় কোটি টাকা। এ তথ্য পাওয়া যায় খেলোয়াড়দের কাছ থেকে। কোটি টাকার খেলা চললেও কেউ কাউকে ঠকায় না। ধর্ম ঠিক রেখে অনেকটা বিশ্বাসে চলে এ জুয়া। মুহূর্তেই টাকা লেনদেন সেরে ফেলা হয়। এ জুয়ায় যোগ দিয়ে ইতোমধ্যে নি:স্ব হয়ে গেছে অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং কারিগর। অনেকে ব্যবসা ছেড়ে পথে বসেছে। জুয়া খেলায় টাকা হারিয়ে অনেক ব্যবসায়ী বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এমন ঘটনাও ঘটেছে। অনেকে জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে বাসবাড়ির আসবাবপত্র এবং স্ত্রীর স্বর্ণের জিনিস বিক্রি করছে। সংসার ভেঙ্গেছে অনেকের। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে এ জুয়া খেলা চলে আসলেও এটি বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেই তাদের। ইতঃপূর্বে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির কারণে বেশ কয়েক বার সেখানে পুলিশ হানা দেয়। ফলে বেশকিছু দিন খেলা বন্ধ থাকে। কিন্তু সম্প্রতি ওই জুয়া খেলা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অনেক ব্যবসায়ী জানায় অতি দ্রুত এ ক্রিকেট জুয়া বন্ধ করা না হলে আরও অনেক ব্যবসায়ীর সর্বনাশ হবে। রেললাইনের ওপর চলে আসলেও রেলওয়ে থানা পুলিশের কোনো অভিযান নেই সেখানে।