খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০১৫, ঈশ্বরদী, পাবনা
ঈশ্বরদীতে সুজাউল ইসলাম (৩৫) নামে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুজাউল ইসলামের হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ পাকশী রেলওয়ে ডিগ্রি কলেজের পেছনে ও পাকশী রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি হলুদক্ষেত থেকে গতকাল সোমবার সকালে উদ্ধার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, পাকশী রেলওয়ে ডিগ্রি কলেজের রেলস্টেশন সড়কের মাঝামাঝি ঝোপের মধ্যে হাত-পা, মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় পুলিশের পোশাক পরিহিত লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি শনাক্ত করেন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোনো একসময় এ ঘটনা ঘটতে পারে। পরে সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক এলাকাবাসী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঈশ্বরদী থানার ওসি (ওসি তদন্ত) আবু ওবায়েদ জানান, ডিউটিরত অবস্থায় রোববার সন্ধ্যা থেকে এএসআই সুজাউল ইসলাম নিখোঁজ ছিল। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে সোমবার ভোর রাতে পাকশী রেলওয়ে ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার ব্যবহত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়েছে হত্যাকারীরা। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও অপরাধীদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বিমান কুমার দাশ জানান, দায়িত্বপালন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ সময় তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। রাত ভর পুলিশ তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি, গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার হাত-পা বাঁধা ও গলায় রশি প্যাঁচানো ছিল। দুর্বৃত্তরা তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি নিয়ে গেছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) সিদ্দিকুর রহমান জানান, এএসআই সুজাউল ইসলাম এক বছর আগে পাকশী পুলিশ ফাঁড়িতে যোগ দেন। কারা, কি কারণে তাকে হত্যা করেছে তা এখনও পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি, তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।