খোলা বাজার২৪ বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০১৫
দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকান্ডরে গুরুত্বপূর্ণ ক্লু হিসেবে পাওয়া গিয়েছে সন্দেহভাজন একটি ই-মেইল। এর আরবি ও ইংরেজি ভার্সনও রয়েছে। এই-মেইলে বার্তা আদান-প্রদানের জন্য সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তরা মনে করেন, জাপানি নাগরিক খুনের হাইপ্রোফাইল তদন্তে সন্দেহজনক ই-মেইলটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। নানা সূত্র মিলিয়ে এমনও ধারণা করা হচ্ছে যে, ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক ও রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যার নির্দেশদাতা একজনই। দুই বিদেশী নাগরিক খুনের তদন্তে অগ্রগতি সম্পর্কে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল জিয়াউল আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা রাত-দিন কাজ করছি। ঘটনার রহস্য ভেদ করার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছি। তবে তদন্ত পর্যায়ে সব তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হলে লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের আশ্বস্ত করছি, শিগগিরই আমরা ঘটনার আদ্যোপান্ত গণমাধ্যমকে জানাব।’ তবে তদন্ত চলাকালে অনুমান নির্ভর কোনো সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি আহ্বান জানান। সন্দেহজনক ই-মেইল : হত্যাকা-ের মাত্র ৩ দিন আগে শহরের একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে একটি ই-মেইল আদান-প্রদানের তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। শহরের একটি সাইবার ক্যাফে থেকে একজন অপরিচিত যুবক ই-মেইল আদান-প্রদান করেন। পরে ই-মেইল বার্তার বিষয়বস্তু তিনি ফটোকপি করে ওই সাইবার ক্যাফে থেকে বেরিয়ে যান। জানা গেছে, ই-মেইলটির বার্তা ছিল দুর্বোধ্য এবং সাংকেতিক। আরবি ও ইংরেজি ভাষায় ই-মেইল বার্তাটি আদান-প্রদান করা হয়। ই-মেইলের শব্দগুলো হচ্ছে, ‘ওয়েটিং গুড অ্যাক্টর, এন্ড গড সেভড হার রিওয়ার্ড/সিটি-হেল/ওয়েটিং ফ্লেয়ারর্স ইব্রাহিম আল কাশিম এন্ড গড সেভ হার রিওয়ার্ড/ ওডিজেডএল।’ এ ধরনের একাধিক দুর্বোধ্য শব্দগুচ্ছ রয়েছে ওই ই-মেইল বার্তায়। সন্দেহজনক এ ই-মেইল বার্তার মর্মার্থ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই ই-মেইলটি দেখেছেন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ। র্যাব-১৩ এর ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে কর্নেল আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ই-মেইল বার্তাটির বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব সম্ভাবনা মাথায় নিয়েই তারা তদন্ত করছেন।