Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০১৫
63আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে বেতন বৈষম্য কমানো না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) সাধারণ শিক্ষা সমিতি। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বেতন বৈষম্য কমানোর দাবিতে দেশের কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১২ অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষা ক্যাডারে বেতন বৈষম্য নিরসন না হলে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর সরকারি কলেজগুলোতে ক্লাস বর্জন হবে। ১৮ অক্টোবর শিক্ষকদের মহাসমাবেশের পর কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জহিরুল হক স্বপন। এতে বক্তব্য দেন সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা ড. নুরুল বাশার, অধ্যাপক আবদুল মোবিন, অধ্যাপক আবদুল আলীম ও অধ্যাপক ইদ্রিস আলী। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সরকার অনুমোদিত জাতীয় বেতন স্কেল শিক্ষকদের জন্য বৈষম্যমূলক ও অপমানজনক। তাই অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহাল করতে হবে। এ ছাড়া ১৯৮৪ সালের এনাম কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, নায়েম ও বিভিন্ন শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, মহাপরিচালক ও অধ্যক্ষের পদ ১ নম্বর গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানান তাঁরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন পালন করে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। বেলা ১১টার দিকে এই মানববন্ধন শেষে কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবদুস সবুর খান, উপাধ্যক্ষ আবদুল লতিফ, প্রভাষক এম রাশেদুল হক। পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ চত্বরে বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধন পালন করেন শিক্ষকরা। এতে বক্তব্য দেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির মজুমদার, কলেজশিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এ কে এম শওকত আলী খান, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি পাবনার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুরাদ, কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল আওয়াল, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাহেস উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জিতা, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহনাজ পারভীন প্রমুখ। বক্তারা শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদার দিকে তাকিয়ে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহালের দাবি জানান। এ ছাড়া শিক্ষা ক্যাডারের পঞ্চম গ্রেডকে চতুর্থ গ্রেডে এবং চতুর্থ গ্রেডকে তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানান তাঁরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুরে মানববন্ধন করেন জয়পুরহাট সরকারি কলেজ ও জয়পুরহাট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষকরা। জয়পুরহাট সরকারি মহিলা কলেজে মানববন্ধন শেষে শিক্ষকদের কমনররুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য দেন কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মো. জয়নুল আবেদিন, অধ্যাপক ড. মাহমুদ উল আলা, অধ্যাপক কাজী ইমরুল কায়েস প্রমুখ। বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রাম চন্দ্র রায়, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির জেলা সভাপতি জাকিরুল ইসলাম আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী করিম উল্লাহ নাদিম। বক্তারা সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে অধ্যাপকদের বিদ্যমান বৈষম্যমূলক বেতন স্কেল আপগ্রেডেশনের দাবি জানান। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে লাগাতার কর্মসূচি পালনের কথাও বলেন তাঁরা। বেলা ১১টার দিকে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ইউনিট মানববন্ধন পালন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন কলেজের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক স্বপন কুমার রায়। এতে বক্তব্য দেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি কুষ্টিয়া ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহম্মেদ। দুপুরে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ব্যানারে নবাব সিরাজউদ্দৌলাহ সরকারি কলেজের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ইউনিট সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ও তরিকুল ইসলাম।